হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে ব্রয়লার মুরগি, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা

গ্রীষ্মকাল শুরু হবার বেশ কয়েকদিন আগে থেকে দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে প্রচন্ড তাপদহ। গরমে অতিষ্ট সারাদেশের মানুষ। মানুষের পাশাপাশি ভীষণ কষ্টে আছে পশুপাখিরা। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রচন্ড গরমে হিটস্ট্রোকের কারণে মরতে শুরু করেছে খামারের ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি। এতে করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক খামারিরা। এছাড়াও অতিরিক্ত তাপের কারণে ডিমের উৎপাদনও ব্যহত হচ্ছে। ইতোমধ্যে হিটস্ট্রোকে যশোর জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০ সহস্রাধিক মুরগি মারা গেছে।

জানা গেছে , যশোরে মুরগি খামার রয়েছে ১৫৩৪টি। যদিও বছর দুই আগে এই সংখ্যা আরও বেশি ছিল। খাদ্য, বিদ্যুৎ, শ্রমিকের মজুরিসহ নানাবিধ কারণে অনেক খামারি  ফার্ম বন্ধ করে দিয়েছেন। বর্তমানে জেলায় ব্রয়লার ২৯২টি, লেয়ারের ৩৭টি ও সোনালী মুরগির খামার রয়েছে ২০৫টি।

শহরের নাজির শংকরপুর এলাকার খামারি সানজিদা বেগম জানান, প্রচন্ড গরমে তারসহ আশপাশের খামারে মুরগি মারা যাচ্ছে। গত কয়েকদিনে মারা গেছে ৫০টির মতো। তিনি বলেন, প্রচন্ড গরমে ‘হিটস্ট্রোকে’ মুরগি মারা যাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ খামারে হিট স্ট্রেস কমাতে খামারিদের করণীয়

শহরতলীর চাঁচড়া ভাতুড়িয়া গ্রামের ফিরোজ হোসেন জানান, তারা খামারে সাড়ে ৪ হাজার ব্রয়লার মুরগির মধ্যে গরমের কারণে ২শ’ মুরগি মারা গেছে।

সদর উপেজলার ফতেপুর গ্রামের পারভেজ হাসান জানান, তার খামারে ২শ’ দেশি মুরগি রয়েছে। প্রচন্ড গরমে মুরগি মারা না গেলেও অসুস্থ হয়ে পড়ায় ডিম উৎপাদন হচ্ছে না। তিনি নিয়মিত স্যালাইন ও লেবুর রস খাওয়াচ্ছেন।

যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশিদুল হক জানান, প্রচন্ড গরমে ব্রয়লার মুরগি অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছে। প্রায় প্রতিটি প্রান্তিক ব্রয়লার খামারে মুরগি মারা যাচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখছি।