মানুষের দৃঢ় মনোবল ও ইচ্ছা শক্তি থাকলে তাকে কোন কিছুতেই আটকানো সম্ভব নয়। তেমনি আটকানো যায়নি খাগড়াছড়ির গোমতির বান্দরছড়া গ্রামের শফিউলকে। নিজের শারিরীক প্রতিবন্ধকতা তার সফলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। চলতি বছর পাহাড়ের বুকে সবজি চাষ করেই পেয়েছেন ব্যাপক সফলতা।
জানা যায়, শারিরীক প্রতিবন্ধী শফিউল অন্যের উপর বোঝা না হয়ে পরের জমি বন্ধক নিয়ে শুরু করেন সবজি চাষ। পাহাড়ের বুকে চাষ করেছেন ক্ষীরা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, কাঁচা মরিচ, করলা, আলু ও টমেটো। বন্ধকি জমিতে সবজি চাষ করে বছরে ৫-৬ লাখ টাকা উপার্জন করেন শফিউল।
এ প্রসঙ্গে শফিউল জানান, শুরুর দিকে স্বল্প পরিসরে সবজি চাষ শুরু করলেও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছি। ইতোমধ্যে ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। সবজি চাষের মাধ্যমেই সংসারে সচ্ছলতা এসেছে। পরিবারের সবাই সবজি চাষে সহায়তা করেন বলেও তিনি জানান।
শারীরিক প্রতিবন্ধী সবজি চাষি মো. শফিউল বশরের বড় ছেলে আবুল বাসার বলেন, ‘লেখাপড়া শেষে চাকরির পেছনে না ছুটে বাবার স্বপ্ন পূরণে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে যুক্ত হয়েছি। বাবার অদম্য মনোবল আমাদের অনুপ্রাণিত করে।’
মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্ত শেখ মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মো. শফিউল বশর একই জমিতে একাধিক ফসল ফলান। ফলে ফসলে রোগ বালাইয়ের আক্রমণ কম হয়। পাশাপাশি কৃষকের আর্থিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে। শফিউল অন্যান্য চাষিদের কাছে একজন অনুকরণীয় চাষি হিসাবে সমাদৃত হচ্ছেন।