শখ করে দেশ-বিদেশের রঙ বেরঙের হরেক রকমের পশুপাখি পালন করতেন। এইভাবেই ধীরে ধীরে শখের খামার বড় হতে থাকে। বর্তমানে কয়েক কোটি টাকার পশু ও রং-বেরঙের দেশি-বিদেশি হাঁস রয়েছে তার খামারে। শখ থেকে শুরু করে কোটি টাকার খামার তৈরী করেন ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্যোক্তা ফজলে এলাহী শাকিব। তার এমন সফলতা দেখে অনেকেই খামারে গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়েছেন।
জানা যায়, ফজলে এলাহী শাকিব ঠাকুরগাঁও জেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে বালিয়া ইউনিয়নের সোনা পাতিলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শখের বশে প্রথমে দেশি-বিদেশি পশুপাখি পালন করতেন। তারপর ২০১৮ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে খামার বড় করতে থাকেন। বর্তমানে তিনি তার খামারে আলাদা আলাদা সেটে আমেরিকা, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম জাতের হাঁস, চায়নার তিতির মুরগি, আমেরিকার তোলুস, ভুটানের ভুট্টি, আমেরিকার ব্রাহমা ও ফিজিয়ান জাতের গরুও রয়েছে। পাশাপাশি তিনি ইন্দোনেশিয়ার মহিষ, আমেরিকার বারবাড়ি ছাগল ও ভারতের গারোল ভেড়াও পালন করছেন। তার এমন দেশি-বিদেশি পশুপাখি পালন দেখে এলাকাবাসি মুগ্ধ। অনেকেই তার খামারে দেখতে আসেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, তার খামারে প্রবেশ করতেই ধবধবে সাদা রঙের একটি মহিষের দেখা মিলে। তারপর আলাদা আলাদা সিটে রং-বেরঙের হাঁসের দেখা যায়। সেটের ভেতরে ছোট ছোট কাঠের ঘর করে রাখা হয়েছে। সেই ঘরে হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো হয়। আর সেটের ভেতর কৃত্রিম পুকুরের পানিতে অপূর্ব সৌন্দর্যের নানা রঙের হাঁসের খুনসুটি করছে।
স্থানীয়রা জানায়, খামারে নানান প্রজাতির অপূর্ব সব পশুপাখি রয়েছে। যেসব এ অঞ্চলে সচরাচর দেখা যায় না। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন তার খামারে।
উদ্যোক্তা ফজলে এলাহী শাকিব বলেন, আমি সব সময় বিদেশি ব্যাতিক্রমী পশুপাখি পালন করি। ১৯৯৮ সালে শখের বশে পশুপাখি পালন শুরু করি। পরে ২০১৮ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে খামার শুরু করি। আমার খামারে দেশি-বিদেশি নানা ধরনের পশুপাখি রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমার খামার যত বড় হচ্ছে ততই কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। আমার খামারে আশেপাশের অনেকের কাজের সুযোগ হয়েছে। আশা করছি আমার খামারে আরো দেশি-বিদেশি পশুপাখি পালন করবো।