রমজান এলেই যেন আকাশছোঁয়া দাম বেড়ে যায় তরমুজের। ৪০ টাকার তরমুজের দাম হয়ে যায় ৫০০-৬০০ টাকা। এত দাম দিয়ে ক্রয় করার মত সাধ্য অনেকেরই থাকেনা। তাই তো কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার অভাবে রাজশাহীতে দোকানেই পচে যাচ্ছে তরমুজ। এতে করে বিপাকে পড়েছেন তরমুজ বিক্রেতারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেজিপ্রতি ১০ টাকা দাম কমিয়ে বিক্রেতারা ক্রেতাদের মনযোগ আকর্ষণ করতে পারছেনা। বিক্রেতাদের হাকডাকেও কেউ কাছে ঘেষছেনা। রোজার শুরুতে উপজেলায় ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল তরমুজ। তবে আজ ৬৫–৭০ টাকা দরে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে।
দুর্গাপুর সদর সিংগা বাজারের ফল ব্যবসায়ী মিলন হোসেন বলেন, ২০ মণ তরমুজ কিনেছি কিন্তু ১০ দিনেও তা বিক্রি করতে পারিনি। ইতোমধ্যে তরমুজ পচতে শুরু করেছে। দাম শুনেই ক্রেতারা ফিরে যাচ্ছেন। ৫০ টাকা কেজির নিচে দাম হলে ভালো হতো। তাহলে ক্রেতারাও কিনে খেত, আমাদেরও বিক্রি বাড়ত।’
আরেক ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম বলেন, রোজার আগের দিন ১০ মণ তরমুজ নিয়ে আসলেও অর্ধেকেরও বেশি পড়ে আছে। কিছু তরমুজ পচেও গেছে। বাজারে তরমুজের বাড়তি দামে একেবারে ক্রেতা নেই এবার তরমুজের।
তরমুজ কিনতে আসা পৌর সদর দেবীপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, একটা বড় আকারের তরমুজ কিনতে গেলে ৪০০–৫০০ টাকা লাগবে। একজন নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে তরমুজ কেনা খুব কঠিন। তরমুজের দাম ৩০–৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হলে ভালো হয়