ফুল চাষে ভাগ্যবদল চাষিদের

সময়ের পরিক্রমায় প্রতিনিয়ত দেশে বাড়ছে ফুলের চাহিদা। ফুলের চাহিদা বাড়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন রকম ফুলের চাষ। এতে যুক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন চাষিরা। বর্তমানে প্রতিটি সিজনেই ফুলের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বাজারে ভাল দামও পাচ্ছেন তারা।

একটা সময় ছিল যখন প্রান্তিক চাষিরা ধান, গম, আলু ও সবজি চাষ করতো। কিন্তু বর্তমানে এসবের পাশাপাশি বিভিন্ন রঙের গোলাপ, জারবেরা, গ্যালোটিলাস, গাঁদা, রজনীগন্ধা, ডালিয়া, রঙ্গন ও অন্যান্য ফুলের চাষ করে আয় করছেন চাষিরা। ফুল চাষে বিনিয়োগ কম হলেও লাভ বেশি হয়। ফুল চাষে প্রতিদিন টাকা আসার কারণে তারা আর্থিকভাবে স্থিতিশীল হয়েছেন। ফুল চাষে সফলতা আসায় মুখে হাঁসি ফুটেছে তাদের।

সাভারের সাদুল্লাহপুর, শ্যামপুর, রাজাসন গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবার ফুলচাষের সাথে যুক্ত। এখানে উৎপাদিত গোলাপ, গ্যালোটিলাস ফুলের ওপর নির্ভর করতে হয় শাহবাগের ফুলবাজারসহ দেশের ফুল ব্যবসায়ীদের। দিন দিন এখানকার ফুলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কৃষক নূরুল আমিন বলেন, আগে কৃষিকাজ করতাম কিন্তু লাভ কম। ফুলচাষে মাত্র একবার বিনিয়োগ করতে হয়। কিন্তু এক থেকে দেড় বছরের ভেতর বিনিয়োগের টাকা উঠে আসে। এরপরের ১০ থেকে ১২ বছর শুধু লাভ। ফুল চাষের আরেকটি সুবিধা, গাছে ফুল ধরার পর প্রতিদিনই কৃষকদের হাতে টাকা আসে। চাষ করার পর শুধু গাছে ফুল আসা পর্যন্তই যা অপেক্ষা। আর মাত্র দেড় বছরের।

আরেক চাষি করিম মোল্লা জানান, আগে ধান, পাট, গম সহ অন্যান্য ফসলের আবাদ করতাম কিন্তু তেমন একটা লাভবান হতে পারতাম না। বর্তমানে ২ বিঘা জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ করছি। এতে করে ভালই লাভ থাকছে। সারাবছরই ফুলের চাহিদা থাকে। বিশেষ করে শীতের সময় ও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। এসময় চার থেকে পাচ গুণ লাভ হয় বলেও তিনি জানান।

উপজেলা কৃষি বিভাগ এর সূত্রমতে, জেলায় আগের বছরের তুলনায় চলতি বছর ফুল চাষের পরিধি বেড়েছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন চাষি। নতুন যারা ফুল চাষ শুরু করছেন তাদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সেবা মুলক পরামর্শ ও অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান কর্মকর্তারা।