মাহমুদুর রহমান রনি, বরগুনা: লাভজনক হওয়ায় উপকূলীয় জেলা বরগুনার পাথরঘাটায় দিন দিন বাড়ছে কাঁকড়া চাষ। উপকূলীয় অঞ্চলের লোনা পানি ও আবহাওয়া কাঁকড়া চাষের উপযোগী হওয়ায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই চাষী লাভজনক হওয়া পুরুষের সাথে সাথে মহিলারা নিজেদেরকে নিয়োজিত করছে কাঁকড়া চাষে।
পাথরঘাটার কাঠালতলী ও চরদুয়ানি ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে চাষিরা বাণিজ্যিক ভাবে কাঁকড়া চাষ করছেন। এই কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন। সরকারিভাবে কাঁকড়া চাষিদের সাহায্য-সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে।
নদী ও সমুদ্র থেকে কাঁকড়া শিকারিরা অপরিপক্ব কাঁকড়া শিকার করে নিয়ে আসেন। সেই কাঁকড়া ছোট ছোট ঘেরে চাষ করছে চাষিরা। কাঁকড়া পরিচর্যা করে পরিপক্ব করে বাজারে বিক্রির উপযুক্ত করতে হয়। পরিপক্ব কাঁকড়া স্থানীয় পাইকারদের কাছে সাইজ অনুযায়ী বিভিন্ন দামে বিক্রি করে থাকেন চাষিরা। কাঁকড়া চাষে ঝুঁকি কম লাভ বেশি হওয়ায় আগ্রহের জন্ম দিয়েছে এখানকার চাষিদের। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়া কাঁকড়া তুলে এনে বড় করা হয়।
চরদুয়ানী ইউনিয়নের হোগলাপাশা গ্রামের কাঁকড়া চাষি মনোজ বেপারি বলেন, সুন্দরবন থেকে সংগ্রহ করে জেলেরা কাঁকাড়া নিয়ে আসা কাকড়া গুলো আমরা মোটাতাজা করি। এই মোটাতাজা কাঁকড়া গুলো ঢাকা ও খুলনা পাইকারদের কাছে বিক্রি করি। এ বছর আমি কাঁকড়া ক্রয় ও খাবারসহ ১০ লাখ টাকা খরচ করে ১৫ লাখ টাকা বিক্রয় করেছি। আমার লাভ হয়েছে ৫ লাখ টাকা।
কাঁকড়ার দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহিলা ৪টি কাঁকড়ায় কেজি হলে প্রতি কেজি বিক্রি করি ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা। পুরুষ ৪টি কাঁকড়ায় কেজি হলে প্রতি কেজি বিক্রি করি ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। যে কাঁকড়া গুলোর সাইজে আসছে না এগুলো সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা কেজি বিক্রি করি।
চরদুয়ানি ইউনিয়নের হোগলাপাশা গ্রামের তুলসী রানী বলেন, এবছর কাঁকড়া চাষে আমার লাভবান হয়েছি। সরকার যদি আমাদের এই কাঁকড়া চাষে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমরা অনেক বেশি লাভবান হতে পারব।