নার্সারিতে জামালের বছরে আয় ৫ লাখ টাকা!

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় নার্সারি চাষে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন জামাল খান। তিনি আগে মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা বিক্রি করে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা আয় করেন। পরবর্তীতে এই লাভের টাকা দিয়ে নার্সারি শুরু করেন। বর্তমানে তিনি নার্সারি মাধ্যমে অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন।

সূত্রে জানা যায়, জামাল খান নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের রহিলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ১০ বছর বয়সে তার মাকে হারান। পরে তার বাবা আবার বিয়ে করেন। অনাদর আর অবহেলায় বেড়ে ওঠে তার জীবন। পরে হতাস না হয়ে প্রথমে কিছু বনজ ও ফলদ চারা দিয়ে নারসারির যাত্রা শুরু করেন। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের চারা ও বীজ সংগ্রহ করেন। তার নার্সারিতে এখন দেড় শতাধিক বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ঔষধি চারা আছে। নার্সারির তার প্রায় অর্ধ কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে। তার কারণে অনেক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

জামাল খান বলেন, আমি মাছ ব্যবসায়ের লাভের পুঁজি নিয়ে নার্সারি কাজ শুরু করি। নার্সারিতে কাজ করার জন্য ৪-৫ জন শ্রমিকের প্রয়োজন পরে। মৌসুমে ১০-১২ জন শ্রমিকও লাগে। নার্সারির লাভের টাকা দিয়ে বাড়ির সাথে ২৭ শতাংশ জমি কিনেছি। প্রতিদিন ৩-৪ হাজার টাকা চারা বিক্রি করি। সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে ৩৫-৪০ হাজার টাকা আয় হয়। আবার মৌসুমের সময় বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় মাসে ৫০ হাজারের বেশি আয় হয়ে থাকে। আমার বছরে সব কিছু মিলিয়ে ৫ লাখ টাকার বেশি আয় হয়ে থাকে।

নার্সারির পরিচর্যাকারী নুর মোহাম্মদ বলেন, আমি জামাল খান ভাইয়ের নার্সারিতে বেশ কয়েক বছর যাবত কাজ করছি। প্রতিমাসে মাসে ৯ হাজার টাকা বেতন পাই। নার্সারিতে কাজ করে অনেক ভালো আছি। তার কারণে বেকার শ্রমিকরা নার্সারিতে কাজ টাকা অর্জন করতে পারছেন।
চারা কিনতে আসা হুমায়ন সিকদার বলেন, অন্যান্য নার্সারির তুলনায় এই নার্সারিতে দাম কম ও ভালো মানের চারা পাওয়া যায়। এই জন্য আমি সব সময় এইখান থেকেই চারা কিনে থাকি। এবং সবাইকে এইখান থেকে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেহা নুর জাগো নিউজকে বলেন, নার্সারি করে বেকার যুবকরা স্বাবলম্বী হতে পারবেন। নার্সারির কাজকে বড় করতে কৃষি অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া আমাদের কাছে পরামর্শের জন্য আসলে আমরা তাদের সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে থাকি।