দিনাজপুরে প্রচন্ড গরমে মারা যাচ্ছে মুরগি

দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে প্রচন্ড দাবদাহ। গরম সহ্য করতে না পেরে দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায়হিটস্ট্রোকের কারণে মরতে শুরু করেছে খামারের ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি। এতে করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক খামারিরা। এছাড়াও অতিরিক্ত তাপের কারণে ডিমের উৎপাদনও ব্যহত হচ্ছে।

জানা গেছে, জেলায় প্রচন্ড গরমের পাশাপাশি লোডশেডিংও মুরগি মারা যাওয়ার অন্যতম কারণ। জেলায় আগে প্রচুর মুরগির খামার থাকলেও বিভিন্ন কারণে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন খামারিরা। বর্তমানে যেসব খামার চলমান রয়েছে তারাও পড়েছে বিপাকে। প্রচন্ড গরমের কারণে খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে মারা যাচ্ছে মুরগি। কেননা এসব খামারে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে ধরনের প্রযুক্তি থাকা দরকার সেটা নেই। এছাড়াও ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণেও মুরগি মারা যাচ্ছে বলে জানান খামারিরা।

বীরগঞ্জ পৌরসভার মো. শাহ আলম জানান, তার খামারে ২ হাজার ৫০০ ব্রয়লার মুরগি ছিল। এর মধ্যে ২ হাজার মুরগিই গরমে ২০ ও ২১ এপ্রিল মারা গেছে। বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে মারা যায় এসব মুরগি। প্রতিটির ওজন ছিল গড়ে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম

আরেক খামারি জানান, তার খামারে সাড়ে ৫ হাজার ব্রয়লার মুরগির মধ্যে গরমের কারণে ৫০ টি মুরগি মারা গেছে। এছাড়াও মুরগি অসুস্থ হয়ে পড়ায় ডিম উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। তিনি নিয়মিত স্যালাইন ও লেবুর রস খাওয়াচ্ছেন।

এদিকে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন এর তথ্যমতে ঈদুল ফিতরের পর ১০ থেকে ১২ দিনে দেশে ১০ লাখের বেশি ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালি মুরগি মারা গেছে। এতে ২০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, প্রচন্ড গরমে ব্রয়লার মুরগি অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছে। প্রায় প্রতিটি প্রান্তিক ব্রয়লার খামারে মুরগি মারা যাচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখছি।