চলতি বছর আনারসের ফলন ও লাভ ভালো হওয়ায় বেশ খুশি টাঙ্গাইলের মধুপুরের কৃষক পরিবারগুলো। কৃষি বিভাগ বলছে, যথাসময়ে বৃষ্টি এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার জায়েন্টকিউ, হানিকুইন এবং জলঢুপি জাতের আনারস আবাদ হলেও জায়েন্টকিউ সবার শীর্ষে রয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক চাষি।
জানা যায়, জেলায় মধুপুর উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়িয়া, মুক্তাগাছা, ঘাটাইল ও জামালপুর সদরের (অংশবিশেষ) পাহাড়ি এলাকায় আনারস চাষ ছড়িয়ে পড়ে। এবার এ পাঁচ উপজেলায় প্রায় ২৩ হাজার একরে আনারসের আবাদ হয়েছে। শুধু মধুপুর উপজেলায় আবাদ ১৬ হাজার ৮৯৪ একর।
আনারস চাষি রহিম বিশ্বাস এ বছর পাঁচ একর জায়গায় দুই লাখ বিশ হাজার আনারস চারা লাগিয়েছেন। জানালেন, ফলনও গেলবারের চেয়ে এবার অনেক ভালো হয়েছে। বাজারে নিয়ে এবং বাগানে বসে পাইকারি দামে বিক্রি করছেন তিনি।
আরেক চাষি জালাল জানান, এখন পর্যন্ত তার বাগান থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকার আনারস বিক্রি হয়েছে। তার বাগানে অন্তত আরও দেড় লাখ আনারস আছে। বাজারের এ দাম অব্যাহত থাকলে এ বছর লাভের পরিমাণ বেশি থাকবে।
এদিকে ছোট সাইজের আনারস হালি প্রতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মাঝারি সাইজের আনারস ৮০ থেকে ১০০ এবং বড় সাইজের আনারস হালি প্রতি ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সর্বাধিক বড় সাইজটা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।