বাংলাদেশের ১৬ কোটির বেশি মানুষ চা পান করে। চা কে একটি জাতীয় ফসল হিসেবে গুরুত্ব দিতে হবে। সিলেট অঞ্চলে চা কে একক ফসল হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। এর মাধ্যমে বিদেশে চা রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ‘টেকসই চা উৎপাদনের জন্য খরা এবং রেড স্পাইডার মাইট সহনশীল চা ক্লোন নির্বাচন’ শীর্ষক কর্মশালায় সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন সিলেট অঞ্চলে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে মডেল ভিলেজ তৈরীর মাধ্যমে গবেষণার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে।
সিকৃবির কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মালেকের সঞ্চালনায় এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস) এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুব ইকবালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম।
এ সময় সিকৃবি ভিসি বলেন, সিলেট অঞ্চলের চা বাগানের জন্য খরা, পোকামাকড় ও রোগবালাই সহনশীল চা ক্লোন উদ্ভাবনের মাধ্যমে চায়ের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে চা শিল্পকে দেশীয় চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি রপ্তানিমুখী করা যায়।
প্রকল্পের সহযোগী গবেষক ও কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মালেকের সঞ্চালনায় কর্মশালায় ‘টেকসই চা উৎপাদনের জন্য খরা এবং রেড স্পাইডার মাইট সহনশীল চা ক্লোন নির্বাচন’ শীর্ষক ৩ বছর মেয়াদী প্রকল্পের সমাপনী প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক এবং সিকৃবি’র ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও চা উৎপাদন প্রযুক্তি বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ এ এফ এম সাইফুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, এ দেশের আবহাওয়ায় অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত খরার কারণে চায়ের উৎপাদন অনেকাংশে হ্রাস পায়।
তিনি আরও জানান গবেষণায় খরা এবং রেড স্পাইডার মাইট সহনশীল কয়েকটি ক্লোন নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছেন, তবে গবেষণাটির ফলাফল অধিকতর নির্ভরযোগ্য করতে গবেষণার কার্যক্রম চলমান রাখা আবশ্যক।
কর্মশালায় কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, পরিচালক (শস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ) ড. মোঃ আক্কাস আলী, সিনিয়র স্পেশালিষ্ট (জলবায়ু ও প্রাকৃতিক সম্পদ) ড. মোঃ মনোওয়ার করিম খান, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ড. মাইনউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।