আসন্ন কোরাবানির ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহুর্তে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন হবিগঞ্জের খামারিরা। তবে দুশ্চিন্তাও ভর করছে খামারিদের। শেষ মহুর্তে কাঙ্ক্ষিত দাম পাবেন কিনা তা নিয়ে বেশ চিন্তিত তারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সূত্রমতে, আসন্ন ঈদে ৯০ হাজার ৬৩৮টি গরুর চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৯টি। এর মধ্যে ষাড় ২৯ হাজার ৮৯৪টি, বলদ ৫ হাজার ২৬৪টি, গাভী ১৩ হাজার ৪২টি, মহিষ ৬৫১টি, ছাগল ৩২ হাজার ৬০৮টি, ভেড়া ২১ হাজার ৫১৫টি এবং অন্যান্য ২টি পশু রয়েছে। এবারে প্রতিটি গরু উৎপাদন করতে গতবারের চেয়ে খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। এছাড়াও ভারতীয় গরু যদি দেশে ঢুকে তাহলে আশা ভরসা সব শেষ হবে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন একাধিক খামারি। কেননা এমনিতেই এবার গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে প্রান্তিক খামারিদের।
খামারি সালাম বলেন, গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পশু লাল-পালনে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় গরুর অবৈধ প্রবেশ নিয়ে দুশ্চিন্ত হচ্ছে। ভাল দাম না পেলে লোকসান গুণতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছে কিন্তু, দাম তুলনামূলক কম। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে গরুর দাম বেড়ে যাবে।
আরেক গরুর খামারি মিজান শেখ বলেন, গতবার বড় আকারের গরু মোটাতাজা করেছিলাম। কিন্তু, খুব একটা সুবিধা করতে পারিনি। পশুর হাটগুলো ছোট আকারের গরুর বেশ টান ছিল। তাই এবার ছোট গরু প্রস্তুত করেছি। গতবারের চেয়ে কয়েকগুণ খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। আশাকরছি এবার ভাল দামেই বিক্রি করতে পারব। তবে শেষ মুহুর্তে যেন ভারতীয় গরু দেশের বাজারে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহবান জানান।