চলতি বছর মাত্র ৭০ হাজার টাকা খরচে ২ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের পুমদী ইউনিয়নের নারায়ণ ডহর গ্রামের এখলাস উদ্দিন সবুজ। সবুজের এমন সাফল্যে এখন এলাকার অনেকেই ক্যাপসিকাম চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
জানা যায়, পড়াশোনা শেষে চাকরির পিছনে না ঘুরে স্থানীয় এক কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে স্বল্প পরিসরে শুরু করেন কৃষি কাজ। চলতি বছর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় পলিনেট হাউজ প্রর্দশনী বাস্তবায়নে পলিনেট হাউজে উচ্চমূল্য ফসল ক্যাপসিকাম আবাদ করে লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন। রাজধানী ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে ক্যাপসিকামের তেমন একটা চাহিদা না থাকায় বাজারজাতকরণে বেশ সমস্যার সম্মুখীনও হয়েছেন।
সবুজ জানান, শুরুর দিকে ২২ টাকা দরে ১১৪০টি ক্যাপসিকাম চারা কিনে চাষাবাদ শুরু করি। শেডের ভিতর ১০ শতাংশ জমিতে চারাগুলো রোপণ করি। চারা রোপণের দু’মাস পর থেকেই গাছে ফল আসা শুরু হয় এবং বিক্রিও শুরু করি।
সবুজ আরও বলেন, ক্যাপসিকাম চাষে জমি প্রস্তুত, লেবার, সার, বালাইনাশক ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে চাহিদা না থাকায় বিক্রি করতে পারিনি। তবে জেলা শহরের কিছু ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ও বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় বিক্রি শুরু করি। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম বিক্রি করা হয়েছে ৩৫০ টাকা দরে। ইতিমধ্যে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করা হয়েছে। এখনও জমিতে যে পরিমাণ ফসল আছে, তাতে অন্তত আরও দুই লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করা যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ক্যাপসিকাম উচ্চ মূল্যের একটি নতুন ফসল। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। বাজারে দাম ও চাহিদা ভালো হওয়ায় এ উপজেলায় আগামীতে ক্যাপসিকামের চাষ আরো বাড়বে বলে আশা করছি।