কৃষি বিভাগের সহায়তায় প্রথমবারের মতো অসময়ের তরমুজ চাষে সফল হয়েছেন দিনাজপুরের হাকিমপুরের উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের কৃষক সোহেল রানা। চলতি বছর পৌনে দুই বিঘা জমিতে মাচা তৈরি করে অসময়ের তিন জাতের তরমুজ চাষ করেছেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে মাচান পদ্ধতিতে তিন জাতের তরমুজের আবাদ করেছেন সোহেল। এখন মাচায় ঝুলছে হলুদ, কালো এবং সবুজ বর্ণের ফলন। সেগুলো পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তরমুজ চাষি সোহেল রানা বলেন, চলতি বছর মাচা পদ্ধতিতে কালো ও সবুজ রঙের তরমুজ চাষ করেছি। প্রত্যাশামত ফলন পেয়েছি। ফলের ভারে মাচা ছিঁড়ে পড়ার অবস্থা। তাই মাচা ঠিক করছি। ইতিমধ্যে মধ্যে বাজারজাত করতে শুরু করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে ভালো আয় হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, ’চাষাবাদে এখন পর্যন্ত এক লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। তরমুজ চাষে লাখ টাকার ওপরে লাভ হবে বলে আশা করছি। রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের কৃষকরা বলেন, ‘আমরা বছরের পর বছর জমিতে ধান চাষ করে আসছি। ওই জমিতে সোহেল রানা তরমুজ চাষ শুরু করে সফল হয়েছেন। যেভাবে তার ক্ষেতে ফল ধরেছে তাতে ভালো আয় হবে।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, কৃষকদের মাঝে উচ্চফলনশীল জাতের বীজ সরবরাহ করেছি। সেইসঙ্গে চাষাবাদ বাড়াতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।