বিধান চন্দ্র রায়, নীলফামারীঃ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় প্রান্তিক কৃষক পর্যায়ে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।উপজেলার যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই শুধু ফুলের হলুদের সমারোহ।মাঠ জুড়ে ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মধু সংগ্রহ করতে দলে-দলে,উড়ে উড়ে আসছে মৌমাছি। আবাদী – অনাবাদী জমিতে কৃষকরা এখন সরিষা চাষ করছেন।তাদের অভিমত ধানের তুলনায় সরিষায় লাভ বেশি।সরিষা চাষ কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। অল্প সময়ে অল্প খরচে অধিক ফলন পাওয়ায় এই সরিষা আবাদ দিন দিন বাড়ছে। ফলে এ বছরেও ভালো ফলনের আশা করছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,বিগত বছরগুলো থেকে চলতি মৌসুমে জলঢাকায় বেড়েছে সরিষার আবাদ।উপজেলার বালাগ্রাম, শৌলমারী,কৈমারী,কাঁঠালী ইউনিয়নে বেশি সরিষার চাষ হয়ে থাকে।পাশাপাশি অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতেও সরিষার আবাদ হয়।কৃষি বিভাগ বলছে,এবছর সরিষার উৎপাদন বেশি হয়ে থাকবে বিগত বছরগুলোর চেয়ে।
এবার জলঢাকায় ১২৬৬ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সরিষা চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে।এতে কৃষকরা বেশ আনন্দিত।
বালাগ্রাম কাশিনাথপুর এলাকার কৃষক রশিদ মিয়া বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসারদের পরামর্শে বোরো ধানের আগে ২ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। কম খরচ ও অল্প দিনের পরিচর্যার মাধ্যমে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব সরিষা চাষে।
এ বিষয়ে জলঢাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ জানান, এভাবে সরিষার আবাদ বাড়তে থাকলে জলঢাকায় সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটবে। তখন স্হানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য এলাকায়ও বিক্রি করা যাবে এই ফসল।সরিষা একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফসল।আমন ধান ও বোরো ধান চাষের মধ্যবর্তী সময়ে চাষ করা হয় বিধায় এ সরিষা কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।ফলন ও বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। উন্নত জাতের বারি -১৪,বারি-১৬ ও বারি- ১৮ সরিষা চাষে দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা অনেকখানি পূরণ হবে।এছাড়া ভোজ্য তেলে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের বীজ – সার প্রণোদনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে তার কৃষি বিভাগ।