মিরসরাইয়ে বেড়েছে আখের চাষ, দামে খুশি চাষিরা!

মিরসরাইয়ে বেড়েছে আখের চাষ। এই উপজেলার মাটি আখ চাষের উপযুক্ত হওয়ায় চাষিরা বাম্পার ফলন পাচ্ছেন। ফলে আখ চাষের প্রতি ঝুঁকছেন চাষিরা। এই উপজেলায় ২০৮ ও চায়না জাতের আখের ব্যাপক চাষ হচ্ছে। ফলনের পাশাপাশি আখের বাজারদর ভালো থাকায় খুশি চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, মিরসরাইয়ে এবছর ১৩ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। এতে ৭ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। উপজেলার দুর্গাপুর ও জোরারগঞ্জ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি আখ চাষ হয়েছে। এ ছাড়া খৈইয়াছড়া, ওয়াহেদপুর, হিঙ্গুলী ইউনিয়নেও আখ চাষ হয়েছে। কৃষকরা প্রতি পিস আখ পাইকারদের কাছে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি করেন। আর স্থানীয় খুচরা বাজারে ৭০-৮০ টাকায় প্রতি পিস আখ বিক্রি করা হয়। এতে এই উপজেলায় প্রায় ১ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আখ বিক্রির আশা করা হচ্ছে।

দুর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের কৃষক কামাল উদ্দিন বলেন, এই বছর ১৫ শতাংশ জমিতে আখের চাষ করেছি। যেখানে প্রায় ১৮শত পিস আখের উৎপাদন হয়েছে। আখ উৎপাদনে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি পাইকারদের কাছে পুরো জমি ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।

উপজেলায় এবার আখের ভালো ফলন হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে বেড়েছে আখের চাহিদা। চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। মিরসরাই পৌর বাজার, বারইয়ারহাট পৌর বাজার, মিঠাছরা বাজার, বড়তাকিয়া, আবুতোরাব, নিজামপুর বাজার, জোরারগঞ্জ বাজার, করেরহাট, আবুরহাট, শান্তিরহাট বাজারে মিরসরাইয়ে উৎপাদিত আখ বিক্রি হয় বেশি। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে আখ কিনে মিনি ট্রাকে নিয়ে যান বিক্রির জন্য।

মিঠাছরা বাজারের আখ বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই বছর আমি ৩০ শতক জমিতে আখ চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি ফলন হয়েছে। খুচরা বাজারে বড় সাইজের আখ ৭০-৮০ টাকায় ও মধ্যম সাইজের আখ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি করছি। বাজারে আখের অনেক চাহিদা। আগামীতে আরো বেশি জমিতে আখের চাষ করবো।

উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম বলেন, এই উপজেলায গত বছরের তুলনায় এই বছর আখের চাষ বেড়েছে। বিশেষ করে ২০৮ চায়না লাল হাইব্রিড জাতের আখের বেশি চাষ হয়েছে। ফলনের পাশাপাশি বাজারে আখের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মাঝে আখ চাষের আগ্রহ বাড়ছে।