হাঁস পালনের মাধ্যমে ব্যাপক সফলতার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হয়েছেন বাগুড়া সারিয়াকান্দির মুস্তাফিজুর রহমান। হাঁসের খামার থেকে প্রতিদিন শুধুমাত্র ডিম বিক্রি করেই পাচ্ছেন ৭ হাজার টাকা। তার এমন সাফল্যে এলাকার এখন অনেকেই হাঁস পালনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাঁস চড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দুলাল। প্রায় ৩ শতাধিক হাঁস জলাভূমিতে ছেড়ে দিয়েছেন। তার এই খামার থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৫০-১৮০ টি ডিম পান। যা স্থানীয় পাইকাররা খামার থেকে কিনে নিয়ে যায়। হাঁসের খাবারের দাম ও অন্যান্য সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে ভাল টাকাই আয় হয়।
এ প্রসঙ্গে মুস্তাফিজুর জানান, শুরুর দিকে অভিজ্ঞতা কম থাকায় হাঁস পালনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতেন। যার কারণে লোকসানও হয়েছিল। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে আয়ত্ত্ব করে নিয়েছেন সবকিছু। যার ফলশ্রুতিতে সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। এখন আমার দেখাদেখি অনেকেই হাঁস পালনে ঝুকে পড়ছেন বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রতিটি ডিম ১৩ থেকে ১৪ টাকায় বিক্রি করছি। আমার খামারটি ভ্রাম্যমান হওয়ায় স্থায়ী খামারের তুলনায় খরচ অনেক কম হয় ফলে লাভ বেশি থাকে। এছাড়াও হাঁস বিক্রি করেও আয় হয়। ৮ থেকে ৯ মাস বয়সের উন্নত জাতের একটি হাঁসের ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। দুই-তিন বছর পর ডিম দেয়া কমিয়ে দিলে প্রতিটি হাঁস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি করে থাকেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলেন, ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে হাঁসগুলোকে সেই খাবার প্রায় বিনা মূল্যে খাওয়ানো যায় বলে এই পদ্ধতিটি লাভজনক। এইভাবেই মুস্তাফিজুর সফল হয়েছেন। দুলালের দেখাদেখি এখন অনেকেই হাঁস পালনে যুক্ত হছেন ।