এবার কোরবানির ঈদে শেষ মুহুর্তে ভাল বেচা বিক্রি হলেও প্রত্যাশা মাফিক বিক্রি হয়নি পশু। যার দরূন অবিক্রিত থেকেছে সাড়ে ২৩ লাখ পশু। এতে করে দীর্ঘমেয়াদী লোকসানে পড়েছেন খামারিরা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, এবার মোট মজুদ ছিলো ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু। সে অনুযায়ী ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৯টি পশু অবিক্রিত থেকে গেছে।
এত পশু অবিক্রিত থাকায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারি ও ব্যাপারীরা। খামারিদের মধ্যে যাঁরা বড় গরু বাজারে এনেছিলেন, তার অধিকাংশই অবিক্রীত রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। চড়া দামের খাবার খাইয়ে, ব্যাংক ঋণ নিয়ে যাঁরা খামার করেছেন, তাঁদের অনেকের অবস্থা করুণ।
কুড়িগ্রাম থেকে গরু বিক্রি করতে আসা রহিম শেখ জানান, এবার গাবতলী হাটে ২০ টি গরু নিয়ে এসেছিল। বেশিরভাগ গরু বড় সাইজের ছিল। কিন্তু হাটে চাহিদা ছিল ছোট গরুর। ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু বিক্রি করতে পারলেও বড় সাইজের গরু বিক্রি করতে পারেন নি। অবিক্রিত গরু ফিরে নিয়ে গেলে তার অনেক টাকা লোকসান হবে।
দিনাজপুর থেকে আসা খামারি মিল্লাত জানান, গরু বিক্রি না হওয়ায় খামার পরিচালনার দৈনন্দিন ব্যয় মেটানোই এখন তাঁদের জন্য কঠিন হবে। ভারত-মিয়ানমার থেকে এবার অবৈধ পথে গরু আসায় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।