রাজধানীতে চাহিদার শীর্ষে ছোট গরু

আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন পশু দিয়ে সয়লাব রাজধানীর বিভিন্ন গরুর হাট। ছোট বড় মাঝারি সহ বিভিন্ন ধরনের পশু নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে ছোট আকারের গরু। বাজেট স্বল্পতার কারণে ছোট আকারের গরু বেশ জনপ্রিয় বলে জানিয়েছেন একাধিক ক্রেতা।

প্রতিবারের ন্যায় এবারও জমে উঠেছে রাজধানীর গাবতলীর পশুর হাট। কুষ্টিয়া থেকে সবুজ মিয়া এনেছেন ১২টি গরু। টাইগারের দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৫ লাখ টাকা। বাকি গরুগুলো মাঝারি ও ছোট আকারের। ক্রেতা সমাগম বেশ। হাঁকডাক চলছে। কিন্তু ক্রেতা অনেক হলেও বিক্রি কম। ক্রেতারা শেষ সময়ে কিনবেন কোরবানির পশু। যাচাই করছেন বেশি। পশুর হাটে গরুর সংখ্যা বেশি। বড় গরুতে চোখ সবার। কিন্তু আগ্রহ বেশি ছোট ও মাঝারি আকারের গরুতে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট গরুর চাহিদা বেশি। তবে ছোট গরু অনেক কম। অধিকাংশ মানুষ চাইছেন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় গরু কিনতে। কিন্তু বাজারে কম মূল্যের গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে এক থেকে দেড় লাখ টাকা। ছোট গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকায়। বাজারে অনেক গরু আছে যেগুলোর মূল্য দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। 

সাঈদ ইসলাম কুড়িগ্রাম থেকে গরু এনেছেন ট্রাক ভর্তি করে। তারা ৪ জন মিলে এনেছেন ২২টি গরু। সাঈদের গরু ৬টি। সারা বছরে আদরে লালিত গরু আছে ৪টি আর বাকি ২টি লালন করেছেন কয়েক মাস। তিনি বলেন, ‘এই গরুগুলা পালন করার জন্য আমার প্রায় তিন লাখ ২০ হাজার টাকা ধার আছে। এগুলা বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করতে হবে। এরপর সারা বছরের লাভ লসের হিসাব।’  

ইতিমধ্যে ২টি গরু বিক্রি হয়েছে তার। তিনি আরও বলেন, বাজারে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। আমার সব গরুই ছোট। একটা গরু বিক্রি করেছি ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায়, আরেকটা ১ লাখ ৫ হাজার টাকায়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সব গরুই বিক্রি হয়ে যাবে।

গরু কিনতে আসা রফিক বলেন, আমার বাজেট দেড় লাখ টাকা। কিন্তু এই টাকায় যে গরু তা পছন্দ হচ্ছে না। আজ ফিরে যাচ্ছি। আশা করি শেষ দিনে দাম কমবে।

এক লাখ ৭৫ হাজার টাকায় গরু কেনেন মো. নাজমুল শেখ। তিনি বলেন, গরুর দাম আগের ঈদের মতোই বেশি।