ক্রেতা নেই ভারতীয় পেঁয়াজের, হতাশ আমদানিকারকরা

বেশি লাভের আশায় কোরবানির আগে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করেছে আমদানিকারকরা। কিন্তু লাভের আশার গুড়েবালি আমদানিকারকদের। কেননা বর্তমানে দেশের পাইকারী ও খুচরা বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের কোন সংকট নেই। এছাড়াও দাম তুলনামূলকভাবে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দামের তুলনায় কম। সে কারণে ভারতীয় পেঁয়াজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ক্রেতারা।

দিনাজপুরের হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় পাইকারী আড়তে দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকা দরে। পাশাপাশি খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৬৫-৭০ টাকা কেজি। এছাড়াও বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের কোন সংকট নেই। তাই ভারতীয় পেঁয়াজের তেমন একটা চাহিদা নেই এখানে।

মেসার্স আরএসবি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, ভারত থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি করতে ক্রয়মূল্য, শুল্ক, পরিবহন, অন্যান্য খরচসহ দাম পড়েছে প্রায় ৬২ টাকা। কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ১-৩ টাকা লাভ যোগ করলেও তা দেশীয় পেঁয়াজের তুলনায় দাম বেশি হবে। যেখানে স্থানীয় বাজারে এর চেয়ে কম দামে দেশি জাতের ভালো মানের পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। তাই ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেনা ব্যবসায়ীরা।

হিলি বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, পাইকারি বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লেও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছেনা। দামের তেমন একটা হেরফের না হওয়ায় দেশীয় পেঁয়াজের দিকেই ঝুঁকছেন ক্রেতারা। তাই অবিক্রিতই থেকে যাচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ। দুই একদিনের মধ্যে যদি পেঁয়াজ বিক্রি করা না যায় তাহলে পেঁয়াজে পচন ধরবে। এতে করে অনেক টাকা লোকসান হবে আমদানিকারকদের।