সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের ২০২৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে।
ভেটেরিনারি অনুষদের ‘ওরিয়েন্টেশন কোওর্ডিনেশন কমিটি -২০২৪’ এর আয়োজনে বৃহস্পতিবার (০৯ মে) সকাল ১১ টায় উক্ত অনুষদের নতুন ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।
জানা যায়, এ বছর ভেটেরিনারি এনিম্যাল এন্ড বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের পঁচিশতম ব্যাচের (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) ৮৪ জন শিক্ষার্থী ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছেন। এরমধ্যে ৭৮ জন বাংলাদেশি ও ৬ জন নেপালি শিক্ষার্থী।
ভেটেরিনারি অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও ডিন ড. সিদ্দিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ইন্টার্নিশিপ ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ভারতের আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ড. বি. এন. সাইকিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি কমপ্লেক্সের ডিরেক্টর ড. ভুপেন শর্মা ও সিলেটের বিভাগীয় লাইভস্টক অফিসের ডেপুটি চিফ এপিডেমিওলজিস্ট ডা. মোহাম্মদ আসির উদ্দিন। সেই সাথে প্রোগ্রামের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্তিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভুঞা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. বি. এন. সাইকিয়া বাংলাদেশ ও ভারতের এই দুই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আশ্বাস প্রদান করেন। এবং সিকৃবির ভেটেরিনারি গ্র্যাজুয়েটদের আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টার্ন করার সুযোগ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা চারবছর একাডেমিক শিক্ষা গ্রহণ করে ইন্টার্নশিপ করে থাকে। এ সময় তারা দশ হাজার রুপি করে মাসিক সম্মানী পেয়ে থাকে। সিকৃবির শিক্ষার্থীরা যদি আমাদের এখানে ইন্টার্ন করতে যায় তাদের জন্যও এ ব্যপারটা দারূন হবে। আমরাও আশা করবো আমাদের শিক্ষার্থীদের সিকৃবিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে এতে দুই দেশের দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আধুনিক ও সমসাময়িক জ্ঞানের দারূন আদানপ্রদান হবে যার মাধ্যমে আমরা দুই দেশই উপকৃত হবো।
