টানা কয়েক সপ্তাহের প্রচন্ড রোদ আর অনাবৃষ্টির কারণে পঞ্চগডে পুড়ছে মরিচের ক্ষেত। আবহাওয়ার বিরূপ আচরণে বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা। বিগত বছরগুলোর লোকসান কাটিয়ে চলতি বছর লাভের আশায় বুক বেধেছিল তারা। কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি। এমন পরিস্থিতিতে খরচের টাকা উঠানোই অনেক কষ্টসাধ্য হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চাষিরা।
চলতি বছর জেলায় ৮ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২৫ হাজার মেট্রিক টন মরিচ উৎপাদনের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় তা আর সম্ভব হচ্ছেনা।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের মরিচ চাষি হুমায়ুন কবির ও সুজন জানায়, চলতি বছর মরিচ চাষের জন্য আবহাওয়া ভাল নয়। অন্যান্য ফসলের চেয়ে মরিচের আবাদে লাভ বেশি হবার কারণে প্রতি বছর বাড়ছে মরিচের আবাদ। কিন্তু এবার একদম ধরা খেতে হয়েছে। এর আগে এক বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ মণ মরিচ উৎপাদন হয়েছিল। এবার তা আর হবেনা। তদুপরি বর্তমানে যে বাজারদর আছে তা শেষ পর্যন্ত থাকলে লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মতিন জানায়, চলতি বছর আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় গাছ এবং ফল দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই মুহূর্তে বৃষ্টিপাত হলেও দেরিতে লাগানো গাছগুলো রক্ষা পাবে তাতে চাষিরা কিছুটা হলেও তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। কৃষি বিভাগের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের সেবা ও পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।