জৈব পদ্ধতিতে লাউ চাষে ব্যাপক সফলতার পাশাপাশি বাজিমাত করেছেন গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী গ্রামের তিন ভাই পনির মিয়া এবং তাঁর দুই ভাই চাঁন মিয়া ও চিনি মিয়া। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বিহীন উৎপাদিত লাউয়ের ব্যাপক চাহিদা ও দাম ভাল থাকায় হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। তাদের এমন আফল্যে এলাকার অনেকেই এখন লাউ চষ উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বলে জানা যায়।
জানা যায়, কৃষি বিভাগের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় লাউ চাষ শুরু করেন তারা। চলতি বছর তিন ভাই মিলে দেড় বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেন। শুধুমাত্র লাউ চাষেই নয় বিগত কয়েকবছর ধরে লাউ চাষের পাশাপাশি চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, পেঁপে, লাল শাক, পুঁইশাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন তারা। লাউ চাষে রোগ বালাই কম ও ঝুঁকি না থাকায় অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাউ চাষ বেশ লাভজনক বলে জানান তিন ভাই।
এ প্রসঙ্গে বড়ভাই চাঁন মিয়া বলেন, শুরুর দিকে একটু সমস্যা হলেও স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে লাউ চাষে সফলতা পেতে শুরু করি। রাজধানীর খুব কাছেই হওয়ায় এখানকার উৎপাদিত সবজির ব্যাপক চাহিদা ছিল। তাই বাজারে ভাল দাম পাচ্ছি। স্থানীয় পাইকাররা ক্ষেতে এসেই লাউ সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ একই গাছে হবে আলু ও টমেটো, শিখে নিন গ্রাফটিং পদ্ধতি
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় সহস্রাধিক লাউ বিক্রি করেছি। এখনও মাঠে সমপরিমাণ লাউ আছে। বাজার দর এখনকার মত থাকলে ভাল টাকা লাভ হবে।
চান মিয়ার আরেক ভাই পনির মিয়া বলেন, ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে এবং রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈবিক উপায় অবলম্বন করে সবজির চাষ করছি। আগে সবজি চাষে কীটনাশক ও বিষ ব্যবহার করতাম। এখন জৈবিক উপায়ে সবজির চাষে বিষমুক্ত সবজি চাষের পাশাপাশি খরচও অনেক কম হচ্ছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে পরিবেশবান্ধব কৌশলে নিরাপদ ফসল প্রকল্পের আওতায় একটি প্রদর্শনী দেয়া হয়েছিল। যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ভাল দামও পাচ্ছেন তারা। আগামীতে নতুন নতুন চাষি লাউ চাষে যুক্ত হবেন বলেও তিনি জানান।