যশোরের খুলনার পাইকগাছায় পরীক্ষামূলক ভেনামি চিংড়ি চাষ করে সফলতা লাভ করেছেন চাষিরা। প্রচলিত অন্যান্য জাতের চিংড়ির তুলনায় ভেনামি চিংড়ি চাষে খরচ কম লাগে। চলতি বছরে থাইল্যান্ড থেকে ১০ লাখ ভেনামি জাতের পোনা আমদানি করে চারটি পুকুরে ভেনামি চিংড়ি চাষ শুরু করেন। এখান থেকে লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন চাষিরা।
সূত্রে জানা যায়, ভেনামি চিংড়ির পোনা ছাড়ার ৮০ তম দিনেই এক একেকটি চিংড়ি গড়ে ৩০ থেকে ৩২ গ্রাম ওজন হয়েছে। এইগুলো এখনই বিক্রি করে সম্ভব। সাধারণত গলদা বা বাগদা বিক্রয় যোগ্য হতে কমপক্ষে ১২০ দিন সময় লাগে। অন্যান্য চিংড়ির চেয়ে ভেনামি চিংড়ি চাষে খরচ প্রায় অর্ধেক।
চাষিরা বলেন, এ ভেনামি চিংড়ি রোগ সহনীয় এবং বৃদ্ধিও সন্তোষজনক। এই চিংড়ি চাষে খরচ অনেক কম লাগে। ফলে চাষিরা অনেক লাভবান হবেন। বাগদার পিছনে যদি ১০০ টাকা খরচ হয়, তাহলে ভেনামির পিছনে ৫০ টাকা খরচ হয়।
দেশে বাগদা চিংড়ির গড় উৎপাদন হেক্টর প্রতি ৩৪১ কেজি। আর ভেনামি চিংড়ির হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয় ৭ হাজার ১০২ কেজি। অর্থাৎ বাগদার তুলনায় ভেনামির উৎপাদন হেক্টর প্রতি ৬ হাজার ৭৬১ কেজি বেশি। ফলে চাষিরা বাগদার চেয়ে ভেনামি চিংড়ি চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
খুলনা বিভাগের মৎস্য অধিদফতরের সাবেক উপ পরিচালক মো. তোফাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ চিংড়ি নিয়ে বাংলাদেশ ফিশারি ইনস্টিটিউট গবেষণার সঙ্গে জড়িত। উনারা পর্যবেক্ষণ করছেন। উনাদের মতামতের আলোকে আমরা সিদ্ধান্ত এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হবে, কি না। চলতি বছর পরীক্ষামূলক ভেনামি চাষের জন্য মোট ১১টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে খুলনার ৮টি ও কক্সবাজারের ৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।