পাহাড়ে বাড়ছে হলুদ চাষ, দামেও খুশি চাষিরা

খাগড়াছড়িতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে মসলা জাতীয় ফসল হলুদ চাষ। অর্থকরী এই ফসল চাষে স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। এখানকার মাটি হলুদ চাষের বেশ উপযোগী আর কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ায় যায় বলে হলুদ চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

জানা যায়, চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় খাড়াছড়ির পাহাড় গুলোতে হলুদের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছর কাঁচা হলুদ ৪০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু  এ বছর দাম বেড়েছে। প্রতিমণ ১১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে শুকনো হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৮-৯ হাজার টাকা।

চাষিরা জানায়, জমিতে হলুদ রোপন করার ৬-৭ মাস পরিচর্যার পর পুরো ফলন পাওয়া যায়। তারা স্থানীয় উন্নত জাতের হলুদের চাষ করে থাকেন। অন্য বছরেরর তুলনায় এ বছর হলুদের দাম বেড়েছে দিগুণেরও বেশি। এ ছাড়া শুকনো হলুদের উচ্ছিষ্ট অংশ প্রতি মণ ৫০০-৫৫০ টাকা করে কিনে নিয়ে যায় মশার কয়েল উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে।

হলুদ চাষি মিজান বলেন, আমি প্রতি বছরই হলুদ চাষ করি। হলুদ চাষে খরচ কম। তবে লাভ হয় ভালো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হলুদের বাম্পার ফলন হয়। ফলে আমাদের লোকসান গুনতে হয় না।

চাষি মনোয়ার হোসেন বলেন, হলুদ চাষে খরচ কম হয়। মসলা জাতীয় এই ফসল উঁচু শুকনো জমিতেও ফলানো সম্ভব। অল্প খরচে বেশি লাভ হয় বলে দিন দিন কুমিল্লায় হলুদ চাষ বাড়ছে। এখানকার হলুদ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরবরাহ করা হয়।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সবুজ আলী বলেন, এই অঞ্চলে দিন দিন হলুদের চাষ বাড়ছে। এছাড়াও পাহাড়ে হলুদের বাম্পার ফলন হয়। মসলা জাতীয় এই ফসল উৎপাদনে খরচ কম হওয়ায় অনেকে ধান বা অন্য ফসল না উৎপাদন করে হলুদ চাষ করছে। কৃষি বিভাগ চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগীতা করছে।