মরিচ চাষে স্বাবলম্বী কুড়িগ্রামের কৃষকরা!

চিলমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় চাষিরা মরিচের বাম্পার ফলন পেয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর মরিচের ফলন বেশি হয়েছে। ফলে চাষিরা মরিচ বিক্রি করে অনেক লাভবান হতে পারবেন বলে আসা করছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী চর-হরিপুর এলাকায় চাষিরা এসব মরিচ চিলমারী উপজেলার স্থানীয় বাজারে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। এবার চাষিরা এ উপজেলায় ২১৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। এর মধ্যে ফলন পাওয়া গিয়েছে ১৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এবছর মরিচ চাষ একটু কম হলেও বাজারে দাম ভালো থাকায় বিক্রি করে চাষিরা লাভবান হতে পারবেন বলে আসা করছেন।

চরহরিপুর এলাকার কৃষক এবাদুলের স্ত্রী রাবেয়া বেগম বলেন, আমরা স্বামী স্ত্রী মিলে এবার ১২ শতাংশ জমিতে কাঁচা মরিচ চাষ করেছি। আমি ২ হাজার টাকা দিয়ে ১৮শ চারা গাছ জমিতে লাগিয়েছি। চাষে মোট খরচ হয়েছে ১৫০০-১৭০০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি মণ মরিচ ২৪০০-২৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। তবে গত বছর ১ লাখ টাকা লাভ হয়েছিল। এই মরিচ চাষেই আমার সংসার চলে। এবার মরিচ বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো বলে আসা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, আগের বছরের তুলনায় এ বছর মরিচ চাষ কম হয়েছে। আমাদের দিক থেকে কৃষকদের সাথে সর্বাত্মক যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছি। এছাড়া আমরা কৃষকদের সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি।