২ লাখ টাকার কুল বরই বিক্রির আশা কৃষকের

২ লাখ টাকার কুল বরই বিক্রির আশা কৃষকের

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বল সুন্দরী বরই চাষে লাভবান চাষি মো. মনির হোসেন। ফলটি দেখতে কিছুটা আপেলের মতো বড়। এই ফলের গাছটি সাধারনত ৫-৬ হাত লম্বা হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক ভাবে এই ফলের চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন তিনি। তার সফলতা দেখে অনেক কৃষক বরই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

সূত্রে জানা যায়, মো. মনির হোসেন উত্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আজমপুরের রামধননগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি এই ফলের চাষ করে তার এলাকায় অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তার কাছে প্রতিনিয়ত এই ফল চাষের জন্য অনেক লোকজন পরামর্শ নিতে আসছেন। তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় লাখ টাকার উপরে এই বল সুন্দরী বিক্রি করেছেন। বর্তমান বাজারে তিনি প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকায় পাইকারী দরে বিক্রি করছেন। আশা করছেন তিনি এই বাগান থেকে ২ লাখ টাকার উপর বরই বিক্রি করতে পারবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষক মনির হোসেন বরই গাছের পরিচর্যায় এবং তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তার বাগানে প্রায় প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় বরই ধরেছে। রঙ আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। খেতে অনেক সুস্বাধু ও মিষ্টি। প্রতিটি গাছে প্রায় ২০-২২ কেজির উপরে আপেল কুল বরই ধরেছে।

চাষি মনির বলেন, আমি এলাকায় ব্যবসা করার পাশাপাশি কৃষি কাজে ও নিয়োজিত ছিলাম। পরে আমি এক জায়গায় এই জাতের বরই চাষ দেখে নিজেও চাষ করার পরিকল্পনা করি। পরবর্তীতে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে এলাকায় প্রায় ৩৫ শতাংশ জায়গায় দেড় শতাধিক বল সুন্দরী ও কাশ্মীরি মিশ্র জাতের আপেল কুলের গাছের চারা রোপণ করি। চারা রোপণসহ প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। চারা রোপণ করার প্রায় ৬ মাসের মাথায় ফলন আসে।

তিনি আরো বলেন, এই ফল দেখতে আপেলের মতো এবং খেতে অনেক মিষ্টি হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমার বাগান থেকে ১ দিন পর পর ৩-৪ হাজার টাকার রবই বিক্রি করতে পারছি। ইতোমধ্যে ১ লাখ টাকার বরই বিক্রয় করেছি। আশা করছি ২ লাখ টাকার বরই বিক্রি করতে পারবো।

আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানা বেগম বলেন, আখাউড়া উপজেলায় অনেক কৃষক বাণিজ্যিকভাবে বরই চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তার মধ্যে মনির হোসেন একজন। তার সফলতা দেখে অনেক বেকার ও শিক্ষিত যুবকরা বরই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এর ফলে উপজেলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।