প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে ব্রকলি চাষে সফল হয়েছেন কালাম। পটুয়াখালীর বেশিরভাগ জমি লবণাক্ত জমি হলেও এই জমিতেই ব্রকলি চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি। আশা করছেন এবছর ব্রকলি বিক্রি করে ২ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন তিনি। ব্রকলি চাষ তার সফলতা দেখে অনেকেই আগ্রহী হয়েছেন।
জানা যায়, কালাম মোড়ল পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লোন্দা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী তার মাছের ঘেরের পাড়ে ৫০ শতক জমিতে বারবারা জাতের ব্রকলি চাষ করেছেন। ব্রকলির রোগ বালাই নেই আর অল্প পরিচর্যাতেই বাম্পার ফলন পেয়েছেন তিনি। একেকটি ব্রকলির ওজন দেড় থেকে দুই কেজি। তিনি আশা করছেন চলতি মৌসুমে ২ লাখ টাকার ব্রকলি বিক্রি করতে পারবেন। তার দেখাদেখি ইতোমধ্যে এ নতুন ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছে অনেক কৃষক।
কালাম মোড়ল বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে তাদের থেকে বারবারা জাতের ব্রকলির আঁটি সংগ্রহ করে চারা তৈরী করি। তারপর আমার লিজ নেওয়া মাছের ঘেরের পাড়ে ৫০ শতাংশ জায়গায় ২০০০ হাজার চারা রোপন করি। ব্রকলির রোগবালাই কম তাই অল্প পরিচর্যায়ই বাম্পার ফলন পেয়েছি। এতোটা ফলন পাবো আশা করিনি।
তিনি আরো বলেন, অনেকে বলেছিলেন যে, লবণাক্ত জমিতে ব্রকলি চাষ হবে না। তাদের কথা না শুনে আমি ব্রকলি চাষ করি। আর আবহাওয়া ভালো থাকায় বাম্পার ফলন পাই। ইতোমধ্যে আমি ৫০ হাজার টাকার ব্রকলি বিক্রি করেছি। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশা করছি আরও দেড় লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।
লোন্দা গ্রামের কৃষক সালাম মিয়া বলেন, চলতি বছর আমি আমার জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। তবে কালামের ব্রকলি চাষ ও ফলন দেখে ভালো লাগছে। আগে জানলে আমিও ব্রকলি চাষ করতাম।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ব্রকলি খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ব্রকলি চাষে সফল হয়েছেন কালাম মোড়ল। তার সফলতা দেখে অনেকেই ব্রকলি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আশা করছি আমরা ব্রকলি চাষ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে দিতে পারবো।