কবুতর পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জের যুবকরা। শখের বশে অনেকেই পায়রা লালন পালন করতে দেখা যেত। কালের বিবর্তনে পায়রা বা কবুতর এখন আর শখের পোষা পাখি নয়। কবুতর এখন ব্যবসা বা স্বাবলম্বী হওয়ার উপকরণে পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত নুরপুর ইউনিয়নের সুরাবই গ্রামের সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তি শখের বশে কবুতর পালন শুরু করলেও বর্তমানে তা বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। লাভবান হওয়ায় স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। ১০ জোড়া কবুতর দিয়ে খামার শুরু করেছিলেন। বর্তমানে তার খামারে ৫০ জোড়া কবুতর রয়েছে। এর মাঝে রেডস চেগার, সবজি রেসার, নাসকি রেসার, মিলি রেসার, কালো বাগদাদী, হোয়াইট বাগদাদী, কালো ময়না ওমা ও গ্রিজেল রেসার জাতীয় কবুতর রয়েছে তার দেখাদেখি এখন এলাকার অনেক বেকার যুবক কবুতর পালনে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
সুমন মিয়া বলেন, আমার কবুতরের খামারে এখন পর্যন্ত ৩৪টি কবুতর মারা গেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ ঠাণ্ডা লেগে রাণীক্ষেত রোগে মারা যায়। পরে ভ্যাকসিন কিনে সব কবুতরের শরীরে পুশ করেছি। আমার ইচ্ছা আছে খামারটি বড় করার।
আলিম নামের এক কবুতর খামারি বলেন, আমার ২০ জোড়া কবুতর রয়েছে। ১৩ জোড়া বাচ্চা দিয়েছে। প্রতি জোড়া বাচ্চা ২৫০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। ইচ্ছে আছে খামারে কবুতর আরও বাড়াব। কবুতরের পাশাপাশশি দেশী মুরগিও লালন পালন শুরু করেছি। ভালই লাভ পাচ্ছি।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রমাপদ জানান, বেকার যুবকরা চাইলেই কবুতর পালন করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। কবুতর পালনে এগিয়ে আসতে স্থানীয়দের উৎসাহিত করা হচ্ছে।