বেগুন ও আলু গাছে টমেটো চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কৃষক বাবলু সর্দার। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন উদ্ভাবন করে তিনি বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন। আগে বেগুন গাছে এবং বর্তমানে আলু গাছে টমেটোর আবাদ করে তিনি সফল হয়েছেন। তার এই নতুন ভাবে চাষ দেখতে প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছেন।
জানা যায়, বাবলু সর্দার কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান মালিথাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রন্তিক চাষি বাবুলের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলে কৃষি কাজ নিয়ে বেশ গবেষনা করেন। কৃষিতে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন। তিনি একজন সফল চাষি হওয়ার পাশাপাশি ২০১১ সালে ঢেঁড়স গাছ থেকে পাটের মতো আঁশ উদ্ভাবন করে ব্যাপক সাড়া ফেলে ছিলেন। এছাড়াও আগে কলাগাছ থেকে সার, আতা ও নিমপাতা থেকে কীটনাশক উদ্ভাবন করে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। নিজ মেধায় তিনি উদ্ভাবক হিসেবে স্বীকৃতিও পেয়েছেন।
চাষি বাবলু বলেন, আমি প্রায় ৯ বছর আগে পরিক্ষামূলকভাবে বেগুন গাছে টমেটো চাষ শুরু করেছিলাম। তারপর থেকে প্রতি বছরই বেগুন গাছে টমেটোর চাষ করেছি। গত বছর থেকে আলু গাছে টমেটোর চাষ শুরু করেছি। প্রথমবার চাষ করাতেই সফলতা পাই।
তিনি আরো বলেন, এবছরও আলু গাছে টামটোর চাষ করেছি। পাশাপাশি জমির আইলে ভুট্টা গাছও লাগিয়েছি।
বাবলু আরো বলেন, বেগুন গাছে টমেটো চাষ করার সময় বেগুন গাছে টমেটোর ডগা কেটে কলমের মতো করে দেই। তারপর টমেটোর গাছ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। মাস খানেক পরে টমেটো ফলন আসে। এতে বেগুন গাছ থেকে একইসঙ্গে টমেটো এবং বেগুন পাওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে আমি একেকটি গাছ থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত টমেটো পেয়েছি।
সেই একই পদ্ধতিতে আলুর সাথে টমেটোর চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। আশা করছি এই পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে পারলে খুব অল্প খরচেই দুই ফসল একসাথে চাষ করে চাষিরা লাভবান হতে পারবেন।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. হারুন আর রশিদ বলেন, আমরা বাবলুর জমিটি পরিদর্শন করেছি। সে আগেও বেগুন গাছে টমেটার চাষ করে সাড়া ফেলেছিল। এখন সে আলু গাছে টমেটোর চাষ করে সফল হয়েছে। তার প্রতিনিয়ত নতুন কিছু উদ্ভাবন মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে। তার এই চাষ পদ্ধতি যদি ছড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে চাষিরা কম খরচে একই সাথে দুই ধরেনের ফসল উৎপাদন করতে পারবেন। আর লাভবান হতে পারবেন।