তরমুজের বাম্পার ফলন ও দামে খুশি চাষিরা

স্থানীয় বাজারসহ রাজধানীতে তরমুজের ব্যাপক চাহিদা ও দাম ভাল থাকায় নীলফামারীতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে অসময়ে তরমুজ চাষ। অসময়ে তরমুজ চাষ করে সফল হচ্ছেন চাষিরা। উৎপাদন খরচ কম হবার পাশাপাশি ভালো দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। যার ফলে অনেক চাষিরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে সদর উপজেলার তিনজন কৃষক ৩৪ শতাংশ জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন।

তরমুজ চাষি কৃষক সামছুল হক বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে তরমুজ চাষ শুরু করেছি। প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে ১৫ শতাংশ জমিতে তরমুজের আবাদ করেছি। ১৫০ টি গাছে প্রায় ৬০০ এর মত তরমুজ ধরেছে। রোপণ করে মাত্র ১৫ হাজার খরচ করে ১ লাখ টাকা বিক্রি করি।

তিনি আরও বলেন, তরমুজ আবাদে মোট খরচ হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফলন হয়েছে। সব খরচ বাদ দিয়ে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো লাভ হবে বলে আশা করছি।

তরমুজ চাষি নুরীন নূর বলেন, ক্ষেতে তরমুজের ভাল ফলন হয়েছে। জমি প্রস্তুত, চারা লাগানো, মাচা তৈরি করা ও পরিচর্যাসহ সব খরচ বাদ দিয়ে ভালই লাভের আশাকরছি। কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা নিয়মিত খোজ খবর নিচ্ছেন বলেও তিনি জানান।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ বলেন, তরমুজ এখন আর মৌসুমি ফল নয়। সারাবছরই তা চাষ করা যায়। বীজ বপনের ৪০ থেকে ৫০ দিনের মাথায় ফুল আসে, আর ফুল থেকে পরিপুষ্ট তরমুজ হতে সময় লাগে ৭০ থেকে ৮০ দিন। মোট ৮০ থেকে ৯০ দিনের জীবনকাল। বাইরে অংশ কালো ও ভেতরে অংশ টকটকে লাল। ব্লাক বেবি জাতের এ তরমুজ ওজনে প্রায় ৩ থেকে ৪ কেজি হয়ে থাকে।