চলতি বছর ভোলার সদর ও দৌলতখান উপজেলায় কৃষকরা চাষ করছেন বারি ক্যাপসিকাম-২। এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ক্যাপসিকামের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে করে চাষিরা ব্যাপক সফলতা্র আশা করছেন। এবছর বাজারে দাম ভালো পেলে অনেক লাভবান হতে পারবেন বলে জানিছেন চাষিরা।
কৃষক মো. নিজাম ফরাজী বলেন, আমি কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ভোলার গবেষণা বিভাগের সহযোগিতায় প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে ৫ শতাংশ জমিতে বারি ক্যাপসিকাম-২ চাষ করেছিলাম। প্রথমবারই ভালো ফলন পেয়েছিলাম। তাই এই বছর ৪০ শতাংশ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে এই ফসলের চাষ করছি। বারি ক্যাপসিকাম-২ সাইজ বড় হয় বলে বাজারে এর চাহিদা অনেক। এছাড়া রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ তেমন হয় না বলে এর ভালো ফলন পেয়েছি। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ করে পাইকারি বাজারে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছি। এ বছর বাজারে দাম কম থাকায় আরও ৩ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করবো বলে আশা করছি।
কৃষক মিন্টু পণ্ডিত বলেন, আমি হাইব্রিড জাতের ক্যাপসিকাম চাষ করেছি। কিন্তু এটি চাষ করে আমি তেমন লাভবান হতে পারিনি। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী বছর থেকে বারি ক্যাপসিকাম-২ চাষ করবেন।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ভোলার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গাজী নাজমুল হাসান বলেন, ভোলার চরাঞ্চলে কৃষকরা প্রতি বছরই আস্তা জাতের ক্যাপসিকাম চাষ করে থাকেন। কিন্তু ওই জাতের ক্যাপসিকাম চাষ করে চাষিরা তেমন লাভবান হতে পারে না। কারন আস্তা জাতের ক্যাপসিকামের বীজের দাম অনেক বেশি বারি ক্যাপসিকাম-২ এর তুলনায়। তাই কৃষকরা বারি ক্যাপসিকাম-২ চাষে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এই ফসল চাষে কৃষকদের উৎপাদন খরচ অনেক কম হয় এবং বেশি লাভবান হতে পারে। এছাড়াও বারি ক্যাপসিকাম-২ এর থেকে আবার আগামীতে চাষের জন্য বীজ সংগ্রহ করা যায়। তাই এই জাতের ক্যাপসিকাম চাষে আমরা সব সময় কৃষকের পাশে আছি।