৫০ হাজার খরচে তরমুজ চাষে আয় আড়াই লাখ টাকা

চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাগেরহাটের কচুয়ায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় বাজারসহ আশেপাশের জেলায় তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভাল দামও পাচ্ছেন চাষিরা। মাত্র ৫০ হাজার টাকা খরচ করে আড়াই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, বাগেরহাটের কচুয়ায় প্রতি একর জমিতে ১৫শ থেকে ১৮শ পিস তরমুজ রয়েছে। প্রতিটি তরমুজের আকার হয়েছে ৫ কেজি থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত। প্রতি একর জমিতে তরমুজ চাষে ব্যয় হয়েছে ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। আর বিক্রি হয়েছে দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত।

তরমুজ শাহিন বলেন, ৬০ শতাংশ জমিতে তরমুজের চাষাবাদ করেছি। এতে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ বছর ফলনও ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে ২ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। ক্ষেতে এখনও কয়েকহাজার টাকার তরমুজ আছে।

আরেক চাষি মিজান বলেন, এবার গরম বেশি থাকায় রমজানের পর তরমুজের দাম বেশি পাচ্ছি। ছয় একর জমিতে সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সার, কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় খরচ একটু বেশি হয়েছে।

আবদুল মান্নান নামে আরেক চাষি বলেন, প্রতি হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষে খরচ পড়ে প্রায় দুই লাখ টাকা। ফলন ভালো হলে তরমুজ বিক্রি করে এক লাখ টাকার বেশি লাভ হয়। প্রতি সপ্তাহে একবার তরমুজ তোলা যায়।

কচুয়া উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জিব কুমার মল্লিক বলেন, বর্তমানে গরম বেশি তাই তরমুজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চাষিরা বাজারে ভাল দামও পাচ্ছেন। শুরু থেকেই কৃষি বিভাগ চাষিদের বিভিন্ন ধরনের সেবা ও পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছে।