রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার জাহাঙ্গীর বিভিন্ন প্রজাতির মুরগির খামার তৈরি করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। তিনি দুইবার বিদেশে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফিরেছেন। পরে তিনি শখ বশত চার জোড়া মুরগি নিয়ে ছোট খামার তৈরি করেন। বর্তমানে তার খামারে দেশি ও বিদেশী ৫০ প্রজাতির মুরগি রয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বড় বাংলাট গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর। ভারতের চেন্নাই থেকে চার জোড়া মুরগি নিয়ে দেশে ফেরেন। সেই চারটি মুরগি দিয়ে শখের বশে নিজের খামার তৈরি করেন। তাঁর খামারের কোনো কোনো প্রজাতির এক জোড়া মুরগির দাম ২০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আছে।
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমার ব্যবসা করার কোন ইচ্ছা ছিল না। আমি শখের বশে মুরগির খামার তৈরি করি। আসতে আসতে বুঝতে পারি বাংলাদেশে এর অনেক চাহিদা রয়েছে। পরে আরও বিভিন্ন প্রজাতির মুরগি বাড়ানোর চেষ্টা করি। বর্তমানে আমার খামারে অর্ধশতাধিক প্রজাতির মুরগি আছে। শৌখিন হিসেবে শুরু করলেও এখন এটা পেশায় রূপান্তরিত হয়েছে। কিছু প্রজাতির মুরগি ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম থেকে সংগ্রহ করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি মুরগি পালনের জন্য বিভিন্ন বিদেশী ভাষা শিখেছি। আমি অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে দেশে-বিদেশের শৌখিন খামারিদের কাছে মুরগি পৌঁছে দেই। আমার খামারে ৫০ প্রজাতির প্রায় ২০০ মুরগি আছে। এর মধ্যে বেশীরভাগ মুরগি দিম দেয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফজলুল হক সরদার বলেন, বর্তমানে জাহাঙ্গীর একজন সফল খামারি।আমরা জাহাঙ্গীরকে সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করেছি। প্রাণিসম্পদ মেলায় তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে তার যত ধরনের সাহায্য দরকার টা আমরা করে যাবো। জাহাঙ্গীরকে দেখে অনেকেই বিভিন্ন প্রজাতির মুরগি খামার তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।