একটা সময় পানিফল তেমন একটা জনপ্রিয় ছিল না। কেননা সে সময় পুষ্টিকর এই ফলটির তেমন একটা কদর ছিলনা। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে মানুষের খাদ্যাভাসের পাশাপাশি রুচিতেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। তাই ধীরে ধীরে এই অপ্রচলিত ফলটির চাহিদা বেড়েছে। যারফলে জয়পুরহাটের চাষিরাও বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেছেন পানিফলের চাষাবাদ। মাত্র ৩-৪ হাজার টাকা খরচে বিঘাপ্রতি আয় হচ্ছে ৩৫-৪০ হাজার টাকা।
সরেজমিনে জানা যায়, যেসব জমিতে পানি আটকে পতিত অবস্থায় পড়ে থাকে এমন জমিতে এর চাষাবাদ করা হয়। বিঘাপ্রতি মাত্র ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ করে পানিফল বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। খরচ কম হওয়ায় চাষিরাও ব্যাপক আগ্রহের সাথে এর চাষ করছেন।
সদর উপজেলার চাষিরা জানান, জমিতে বেশিরভাগ সময় পানি থাকার কারণে অন্য কোন ফসল ফলানো যায় না। কিন্তু পানিতেও পানিফল চাষ করা যায়। তাই জমি ফেলে না রেখে বাড়তি আয়ের উৎস হিসাবে পানি ফল চাষ করি। এটি চাষে কীটনাশক ও শ্রমিকসহ খরচ পড়ে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা। ভালভাবে পরিচর্যা করলে বিঘায় ৪০ মণ পর্যন্ত ফল উৎপাদন হয়।
তারা আরও বলেন, বর্তমানে প্রতিমণ পানিফল ৪০০ থেকে ১১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকাররা ক্ষেতেই এসে কিনে নিয়ে যায়। এছাড়াও বাজারে নিয়ে গিয়েও বিক্রি করা যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাহেলা পারভীন বলেন,পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ফলের বাজারেও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। তাই পতিত জমি ফেলে না রেখে পানিফল চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।