আব্দুল মজিদ. মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার লামুয়া গ্রামের বাসিন্দা শিফার মিয়া একজন সফল হাঁসের খামারী। শিফার মিয়া কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন, চার মেয়ে এক ছেলে নিয়ে সাত সদস্যের সংসারে নুন আনতে পানতা ফুরাতো।
বিগত পাচ বছর আগে পাশের গ্রামের হাঁস খামারীদের দেখে মাত্র একশত খাকি ক্যাম্পেল জাতের হাঁস দিয়ে খামার আরম্ভ করেন,এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নী, এখন তার খামারে তিনশো হাঁস, যা প্রতিমাসে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ইনকাম হয়।
শিফার মিয়া বলেন আগে কৃষিকাজ করে সংসার চালাতে অনেক সমস্যা হতো আল্লাহর রহমতে হাঁসের খামার দেওয়ার পরে সংসারে অভাব অনটন অনেকটাই কম, আমার চার মেয়ের এক ছেলের মধ্যে দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছি এই হাঁসের খামারের উপার্জন দিয়ে।
শিফার মিয়া আরো বলেন আমি হাঁস চারণভূমিতে মুক্ত পদ্ধতিতে পালন করি যার কারণে রোগবালাই অনেকটাই কম এবং ডিমের পরিমান গড়ে বেশী থাকে, খাবার খরছ কম হয় পরিশ্রম বেশী হলেও লাভের পরিমান তুলনামূলক বেশী। আমার খামারে হাঁস বছরে গড়ে ৮ মাস ডিম দেয়। বিশেষ করে, বৈশাখ মাস থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত এসময় পার্শ্ববর্তী হাওর ও আশেপাশের জমিতে পানি থাকায় প্রাকৃতিকভাবে খাদ্যের উৎস থাকে। এছাড়াও স্থানীয় উপজেলা প্রানীসম্পদ অফিস থেকে বিভিন্ন সময়ে ভ্যাকসিন ও অন্যান্য উপকরণ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করেন বলেও তিনি জানান।