সিকৃবিতে বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত

আধুনিক কৃষির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) ফার্ম মেশিনারি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় কৃষি যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা প্রকল্পের আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার (১২ মে ) সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেমিনার উদ্বোধন করেন।

এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় অডিটোরিয়াম রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয় এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের মাঝে বারি কর্তৃক একটি করে টি-শার্ট প্রদান করা হয় ।

উক্ত সেমিনারে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিকৃবি গবেষণা সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূইয়া, সেমিনারের মুখ্য আলোচক হিসেবে বিস্তারিত আলোকপাত করেন ড. মো. নূরুল আমিন, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এফএমপিই বিভাগ) ও প্রকল্প পরিচালক (এফএমডিপি)। এসময় তিনি বারির বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও একই সাথে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা উদ্ভাবন প্রজেক্টে অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন পুরস্কারের কথা তুলে ধরেন ।

সেমিনার শেষে অতিথিবৃন্দসহ অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের নিচ তলায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) কর্তৃক উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি প্রদর্শনী মেলা পরিদর্শন করেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, “কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের এখনই সুবর্ণ সুযোগ। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষকদের খরচ কমে, উৎপাদনশীলতা বাড়ে, হারবেস্টিং করতে সুবিধা ও অপচয় কম হয়। তিনি কম্বাইন্ড ইন্জিনিয়ার তৈরি করার প্রস্তাব তুলে বলেন কম্বাইন্ড ইন্জিনিয়ার তৈরি হলে রাষ্ট্র, কোম্পানি, ইন্জিনিয়ার ও কৃষক সকলেই উপকৃত হবে। এছাড়া, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী যদি কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে, তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরষ্কারের ঘোষণা দেন। এছাড়া, তিনি বিদেশ থেকে কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানি না করে কৃষি প্রকৌশলী দ্বারা কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন, কৃষক পর্যায়ে যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত ও মাঠ পর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলীদের জন্য চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।”

অনুষ্ঠানের সভাপতি কৃষি প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আলতাফ হোসেন বলেন, “কৃষি প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি অনুষদ কৃষি প্রকৌশলী তৈরির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে কৃষি প্রযুক্তি বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিপ্লব ঘটাবে ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে।”

উল্লেখ্য, কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী মেলাটি ১২ ও ১৩ মে দুইদিন ব্যাপী কৃষির নতুন উদ্ভাবিত যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে।