শেরেবাংলা কৃষি (শেকৃবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সংগঠন “শেকৃবি ডিবেটিং সোসাইটি” যুক্তিবাদী চেতনাকে এগিয়ে নিতে এক রঙিন আয়োজনের মধ্য দিয়ে রজতজয়ন্তী উদযাপন করেছে।
সম্প্রতি রাজধানীর প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনটির আয়োজনে রজতজয়ন্তী উদযাপন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। পরে এক মনোমুগ্ধকর র্যালির আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য, বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলী, সাবেক ও বর্তমান বিতার্কিকরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ বলেন, “যুক্তিবাদী ও বিশ্লেষণধর্মী মানসিকতা গড়ে তোলার অন্যতম মাধ্যম হলো বিতর্কচর্চা। শেকৃবি ডিবেটিং সোসাইটি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে এ ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের বিষয়।”
ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর তাজুল ইসলাম তুহিন বলেন, “এটি কেবল বিতর্কের প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার, চিন্তাকে শানিত করার এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর একটি ক্ষেত্র।”
পাশাপাশি তিনি আসন্ন ৫ম শেরেবাংলা কাপ বিতর্ক প্রতিযোগিতা সফলভাবে আয়োজনের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
রজতজয়ন্তী উপলক্ষে এক বিশেষ প্রীতি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মুখোমুখি হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি। বিতর্কের বিষয় ছিল “এই সংসদ মনে করে ছাত্রদের একটা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করা উচিত”। বিতর্ক শেষে অতিথিরা অংশগ্রহণকারী দলগুলোর যুক্তিনির্ভর চিন্তাধারা ও উপস্থাপনার প্রশংসা করেন।
দিনব্যাপী এই উৎসবের শেষ পর্যায়ে রজতজয়ন্তী উপলক্ষে কেক কাটা হয় এবং নবীনদের আনুষ্ঠানিকভাবে ডিবেটিং সোসাইটিতে বরণ করা হয়। “মুক্ত চর্চায় বিকশিত হবো আমরা”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে নবীনদের নিজেদের যুক্তিশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা বিকাশে বিতর্কচর্চায় সক্রিয় থাকার আহ্বান জানানো হয়।
এভাবেই যুক্তির মশাল হাতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি তাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে, এমন প্রত্যাশা সকলের।
উল্লেখ্য যে, ২০০০ সালের আজকের দিনে ( ৯ ফেব্রুয়ারি) ”মুক্ত চিন্তায় বিকশিত হব আমরা” স্লোগান ধারণ করে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়।