আগাম জাতের শিম চাষে ব্যাপক সফলতার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছেন হবিগঞ্জের চাষিরা। হবিগঞ্জ জেলার সর্বত্রই শিমের ব্যাপক চাষাবাদ হয়ে থাকে। প্রতিববছরের ন্যায় চলতি বছরেও চাষিরা আগাম জাতের শিম চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। স্থানীয় বাজার সহ রাজধানীতে শিমের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভাল দামও পাচ্ছেন তারা। এতে করে হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলার নবীগঞ্জে প্রায় ৬ শত হেক্টর জমিতে শিমের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে জমিতে উৎপাদন খরচ ২-৩ লাখ টাকা হলেও হেক্টর প্রতি প্রায় ৭-৮ লাখ টাকার শিম উৎপাদন হচ্ছে। মাস খানেক আগে শিম প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। এখন তা নেমেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
শিম চাষি রেজাউল হক জানান, প্রতিবারের মত এবারও আগাম জাতের শিম চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন ভাল হয়েছে। শুরুর দিকে প্রতিকেজি শিম ১২০-১৩০ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি করলেও বর্তমানে দাম কমেছে। এখনো ক্ষেতে যে পরিমাণ শিম আছে তা আরও ৩০ হাজার টাকার মত বিক্রি করা যাবে।
চাষি মিলন মিয়া বলেন, বর্তমানে শিমের দাম খুবই কম। তবে শুরুর দিক্লে ভালই লাভ করতে পেরেছি। ইতোমধ্যে খরচ বাদ দিয়ে ২০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। শিম চাষে লাভ করতে হলে আগাম জাতের পাশাপাশি আধুনিক ও উচ্চ ফলনশীল জাতের কোন বিকল্প নেই। যদিও অন্যান্য ফসলের তুলনায় শিম চাষে তুলনামূলক খরচ ও পরিশ্রম কম। তাই শিম চাষ বেশ লাভজনক।
আরেক শিম চাষি গফুর বলেন, এবার শিম চাষে ৬০ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। সব খরচ বাদ দিয়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাভ থাকবে। শুধু আমারই নয় উপজেলা জুড়ে শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। শিম চাষ করে আমরা লাভবান হয়েছি
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ ফজলুল হক মনির বলেন, জেলার সর্বত্রই বারি শিম ১, বারি শিম ২, বিইউপিএফ শিম ৩, ইপসা শিম ১ সহ অন্যান্য প্রচলিত জাতের শিম চাষ হয়েছে। চলতি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শিম চাষ খুব ভালো হয়েছে। এছাড়াও শুরুর দিকে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সেবা মূলক পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে শিমের চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি ভাল দামও পাচ্ছেন চাষিরা। সামনের বছর শিম চাষ আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি ।