লালমনিরহাটে চাষ হচ্ছে চিয়া বীজ। বিভিন্ন উপজেলার কৃষকেরা ২১৩ শতাংশ জমিতে চিয়া বীজ চাষ করেছেন। ভালো ফলনের আশা করছেন তারা।
আদিতমারী উপজেলার জামুরটারী গ্রামের কৃষক আবু ফরহাদ জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনি নতুন এই ফসল ১১ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন। বর্তমানে এই ফসলের ভালো চাহিদা রয়েছা। ভালো ফলন ও বাজার সুবিধা পেলে ভবিষ্যতে আরও অধিক পরিমানে এই ফসল চাষ করবে বলে আশা ব্যেক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায় , এই বীজ একটি বিদেশি ফসল। মূলত মধ্য আমেরিকায় এটি চাষ হয়। এর নানান গুন বা বৈশিষ্ট্য এর কারনে চিয়া বীজ কে সুপারফুড বলা হয়। কৃষি বিভাগ জানায়, শর্করা, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাসসহ একাধিক খনিজ পদার্থ রয়েছে চিয়া বীজে। পাশাপাশি, ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে বীজে। প্রতি বিঘা জমিতে এই বীজ উৎপাদন করতে খরচ হয় ১২-১৫ হাজার টাকা। বীজ উৎপাদন হয় ৭০-৮০ কেজি। প্রতি কেজি বীজ বিক্রি হয় ৭০০-১০০০ টাকা দরে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বীজ বপন করতে হয়। ফলন ঘরে তোলা যায় মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামীম আশরাফ বলেন, ‘লালমনিরহাটের মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশানুরূপ চিয়া বীজ উৎপাদনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে এবং সহযোগিতা করা হচ্ছে। আগামীতে আরও বেশি কৃষককে এই বীজ উৎপাদনে আগ্রহী করা হবে।’