আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাট জেলার মাঝারি, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারিরা। বেশি লাভের আশায় সম্পূর্ণ অর্গানিক উপায়ে গরুগুলোকে কুরবানির উপযুক্ত করতে মোটাতাজা করতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন তারা।
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম ও জেলা সদরে প্রতি বছরের মত এবছরও বিপুল পরিমাণ গরু, ছাগল মোটাতাজাকরণ হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে আসন্ন কুরবানির ঈদে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় এক কোটি ৪৫ লাখেরও বেশি হবে। গত ঈদে শুধুমাত্র রংপুর বিভাগ থেকেই ১১ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৭টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছিল। চলতি বহচর এ সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
খামারিরা জানিয়েছেন, চলতি বছর খাদ্য, ওষুধসহ সব উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় গরুর দাম চড়া হবে। এই জেলার বেশিরভাগ এলাকা সীমান্তবর্তী হওয়ায় লোকসানের শঙ্কাও আছে খামারিদের। কেননা প্রতি বছরেই শেষ মহুর্তে ভারতীয় গরুতে সয়লাব হয়ে যায় সীমান্তবর্তী পশুর হাটগুলো। চলতি বছরও যদি ভারতীয় গরু ঢুকতে থাকে তাহলে অনেক টাকা লোকসান হবে বলে ধারনা করছেন খামারিরা।
জেলা সদরের মোগলহাটের খামারি লিয়াকত আলী বলেন, এবারের কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে ১২ টি গরু প্রস্তুত করছি। ইতোমধ্যে সবগুলো ষাড় গরুই ঘরে রাখা হয়েছে। ঘরের মধ্যেই খাবার প্রদান গোসল সহ অন্যান্য কার্যাদি সম্পন্ন করছেন। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে গরু গুলো মোটাতাজা করছি। এর ফলে খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন ষাঁড় গুলো ১০০০-১৫০০ টাকার খাবার খায়। এছাড়াও প্রচুর কাঁচা ঘাসের যোগান দিতে হয়। যদিও ঘাসের যোগান নিশ্চিতে নিজের জমিতেই চাষ করছেন বিভিন্ন জাতের উচ্চফলনশীল ঘাস। খরচ বাদ দিয়ে ভাল টাকা আয় হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।