উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে রেমালের আঘাতে দুই লক্ষাধিক হাঁস-মুরগি ও ৮ শতাধিক গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। এতে করে সংশ্লিষ্ট খামারিদের ৪৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে ।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় রেমালে উপকূলীয় জেলাগুলোয় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে দেখা গেছে, সারা দেশে এ পর্যন্ত ১০৫টি গরু, ১৬৯টি মহিষ, ১৯৫টি ছাগল ও ৩০৩টি ভেড়ার মৃত্যু হয়েছে। পোলট্রি শিল্পও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। ঝড়ের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ৫৫৬টি মুরগি ও ১৮ হাজার ৭০১টি হাঁসের।
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায়ও রেমালে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ফসল, চিংড়ি ঘের ও গোখাদ্যের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকার ওপরে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহামান বণিক বার্তাকে জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল ও জলোচ্ছ্বাসে জেলায় ৩ হাজার ৯০০টি চিংড়ি ঘের ও ২০০টি কাঁকড়া খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি
জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এসএম মাহবুবুর রহমান বলেন ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ৮৫ লাখ টাকার গোখাদ্য নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে খড় ৬২০ টন ও ৯১৮ টন ঘাস। সামনে কোরবানি ঈদ। এ সময় গোখাদ্যের ক্ষতি হওয়ায় খামারিরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।’
গবাদিপশুর এমন ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দ্রুত চিকিৎসাসেবার দাবি করছেন কৃষি উদ্যোক্তারা। সেই সঙ্গে ঘাসের মাঠ পানিতে ডুবে যাওয়ায় উপকূলীয় এলাকায় গোখাদ্য বিতরণ ও গবাদিপশুর ক্ষতিগ্রস্ত ঘর নির্মাণে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
সূত্রঃ দেশ রূপান্তর