রংপুরে সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী

ফজলুর রহমান, রংপুর: রংপুরের পীরগাছায় কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে টেকসই যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী ও ধানবীজ বপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বুধবার (২০ডিসেম্বর) উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালুক ইসাদ গ্রামের কৃষক খায়রুল ইসলামের ২২শতাংশ জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী কার্যক্রম শুরু করেন উপজেলা কৃষি অফিস।

সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী কার্যক্রমে উপস্থিত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বর্তমান সরকার কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে টেকসই যান্ত্রিকীকরণের বিভিন্ন পদক্ষপে গ্রহণ করেছেন। যার একটি হচ্ছে সমবায়ভিত্তিক সমলয় চাষাবাদ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে চারা তোলা, চারা রোপণ ও ধান কর্তন সব প্রক্রিয়া যন্ত্রের সাহায্যে সম্পাদন করা হয়। ফলে কৃষক তার ফসল একত্রে মাঠ থেকে ঘরে তুলতে পারেন। কারণ একসঙ্গে রোপণ করায় সব ধান পাকবেও একই সময়ে। তখন ধান কাটার মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে সব ধান কর্তন ও মাড়াই করা যাবে। এসব কারণে সমলয় পদ্ধতিতে যন্ত্রের ব্যবহার সহজতর ও বৃদ্ধি পাবে। ধান চাষে সময়, শ্রম ও খরচ কম লাগবে। এ ক্ষেত্রে কৃষক লাভবান হবেন এবং কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ পদ্ধতির প্রবর্তন সহজ হবে।

রংপুর কৃষি প্রকৌশলী সদরুল আলম সরকার বলেন, নতুন এ পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে ফসল কাটা, মাড়াই সবই এক সময়ে একযোগে করা হবে। স্বল্প মানুষের মানুষের কাজটা করবে যন্ত্র। জমির অপচয় রোধে এ পদ্ধতিতে প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে লাগানো হবে ধানের বীজ। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা হবে। খরচ কম শুধু সামান্য পরিমাণে জৈব সার দিতে হয়।

উল্লেখ্য যে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম সমলয়ে চাষাবাদ কার্যক্রম প্রদর্শনী আকারে দেশের ১২টি জেলার ১২টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করে। এটি ব্যাপক সফলতা লাভ করায় ২০২০-২১ অর্থবছরেও কার্যক্রমটি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

বীজতলা তৈরী ও প্রদশর্নীর সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার, রংপুর কৃষি প্রকৌশলী সদরুল আলম সরকার ও উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অবিনাশ চন্দ্র সরকার প্রমুখ