ফজলুর রহমান, রংপুর: ধান, গম, পাট, আলু, কলা, টমেটো, মরিচ-পেঁয়াজ ও ভূট্টার পাশাপাশি বেগুন চাষ করেও রংপুরের পীরগাছা উপজেলার অনেক কৃষক স্বাবলম্বী হচ্ছেন। লাভের অংকে বেগুন এখন সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনকারী ফসল। তাই এ অঞ্চলের কৃষকরা অন্য ফসলের পাশাপাশি বেগুন চাষে ঝুঁকছেন। এমন একজন কৃষক আব্দুল জলিল।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় বেগুন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২৩ হেক্টর। অর্জন হয়েছে ৩২৫ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার ১৬৩ মে. টন। উপজেলা বেশ কয়েকটি পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ৫ হতে ৬ টাকা, কেজি দরে বেগুন বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০ হতে ১৫ টাকা।
উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের কিশামত ছাওলা গ্রামে বেগুন চাষি কৃষকদের সাথে কথা জানা যায়, বেগুন চাষে সফলতার কথা। কিশামত ছাওলা গ্রামে ওমর আলী, খালেদুল, জাহাঙ্গীর, মোস্তফা, এরশাদ, কেরামত, নয়া মিয়া ও আব্দুল জলিলসহ অনেকেই বেগুন চাষ করেছেন।
ওই গ্রামের একজন আদর্শ কৃষক আব্দুল জলিলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত বছরের শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে ২৫ শতক জমিতে লাল তীর কোম্পানির হাইব্রিড জাতের পারপোলকিং বেগুন লাগিয়েছি। শুরুর দিকে ৫২.৫০ টাকা কেজি দরে বেগুন পাইকারি বিক্রি করেছি। এ যাবত আমি নিজেই বিক্রি করেছি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রায় ৪০ বছর থেকে বেগুন চাষ করি। বর্তমানেও তার জমিতে বেগুন, শসা, লাউ, ডাটা ও পাট শাক আছে।
তিনি আরোও বলেন, উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি বিক্রি করে প্রায় ৮০ শতক জমি ক্রয় করেছেন। ছেলে-মেয়েদেরকে লেখা-পড়া করিয়েছেন, বাড়ী-ঘর করেছেন।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আলুসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি বাজারে বেশি বেশি আসার কারনে বেগুনের দাম একটু কম হলেও কৃষক লাভবান হবেন। বেগুন যেহেতু একবারে নষ্ট হয় না, দীর্ঘদিন যাবত উঠানো যায়। তিনি আরো বলেন, প্রায় প্রতিটি সবজি চাষে কৃষক ব্যাপক স্বাবলম্বী হয়েছেন। বেশী লাভজনক সবজির মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে বেগুন।