চলতি বছর যশোরের শার্শায় মুখি কচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং তেমন কোন রোগবালাই না হওয়ায় প্রতি বিঘায় ৭৫-৮০ মণ মুখি উৎপাদন হয়েছে। বিক্রির সময় বাজারের দর না কমলে সব খরচ বাদ দিয়ে আনুমানিক ৩ লাখ টাকা লাভ হবে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলা জুড়ে মোট ১৮০ হেক্টর জমিতে মুখি কচুর চাষ হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত মুখি কচু ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হয়।
কয়েকজন চাষি জানান, গত ৪-৫ বছর এখানে কচু বিক্রি করতে আসেন। হাটে বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই। কখনো কচু বাড়িতে ফেরত নিতে হয় না। এ হাটে এলে বিক্রি হয় এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। ভালো মানের কচু পাইকারি দাম দিচ্ছে ৫৩-৬০ টাকা কেজি দরে। তবে কখনো কম-বেশি হয়।
স্থানীয় কৃষক আব্দুর রশিদ তাঁর এক বিঘা জমিতে মুখির আবাদ করেছেন। তাঁর প্রতি ১০ শতাংশ মুখিকচু উৎপাদিত হয়েছে ২০ মণ করে। এতে পাইকারি ১ হাজার ৮শ টাকা করে বিক্রি করলেও খরচ বাদ দিয়ে তার লাভ হবে আনুমানিক ১ লাখ টাকা।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা বলেন, স্বল্প খরচ ও অল্প শ্রমে মুখিকচুর ভালো ফলনের পাশাপাশি কয়েকগুণ বেশি দাম পাওয়ায় কৃষকরা দিন দিন এ সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। নতুন নতুন চাষিদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।