ঈশ্বরদীতে কৃষকরা আখ চাষের পাশাপাশি অন্যান্য ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। একই জমিতে আখ চাষের পাশাপাশি অন্যান্য ফসল যেমন আলু, পিঁয়াজ, মসূর, শিম, বরবটি, রসুন ও অন্যান্য শীতকালীন শস্য চাষ করলে আখের উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদীতে আখ চাষের সাথে অন্যান্য শস্যের এই আন্তঃচাষাবাদ ফলন বৃদ্ধি করার পাশাপাশি মাটির উর্বরতাও বৃদ্ধি করছে। আখ বাংলাদেশের একটি শিল্প শস্য হিসেবে অভিহিত। এই আন্তঃচাষাবাদের মাধ্যমে অতিরিক্ত জমির চাহিদা হ্রাস পায়। ফলে কৃষকরা অনেক লাভবান হতে পারবেন। সকল চাষিরা এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে ঝুঁকে পড়ছেন।
জেলার বাঘা উপজেলার আড়ানী গ্রামের কৃষক আব্দুর রউফ বলেন, আমি এ বছর পেঁয়াজের সাথে আখ চাষ করেছি। আখ চাষে ফলন পেতে প্রায় ১২ মাস সময় লাগে। আগে তেমন একটা আন্তঃচাষাবাদ হতো না। কিন্তু এখন গবেষণা কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আখ ক্ষেতে বারি-৪ প্রজাতির পেঁয়াজ, আলু ও কলাই ডাল চাষ করছি। এই আন্তঃচাষাবাদের কারণে আমি অতিরিক্ত ১২ হাজার টাকা আয় করতে পেরেছি। এই পদ্ধতিতে আখ চাষ করলে অতিরিক্ত সার বা শ্রম কোন কিছুরই প্রয়োজন হয় না। ফলে দিন দিন চাষিরা এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
মীরগঞ্জ গ্রামের অপর কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ৩ বছর ধরে আখ ক্ষেতে ২৬ প্রজাতির মসলা ও শাক-সবজি চাষ করছি। এর আসগে শুধু আখ চাষ করতাম। কিন্তু তেমন লাভবান হতে পারেনি।
বিএসআরআই’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শামসুর রহমান বলেন, আমরা আখের সাথে বিভিন্ন শীতকালীন ফসলের ৩০টির বেশি প্যাকেজ উদ্ভাবন করেছি। কিন্তু কৃষকদের কাছে এই প্রযুক্তি পৌঁছতে পারছে না। তাই কৃষকদের কথা বিবেচনা করে আমরা অন্যান্য শস্যের সাথে সাথী-সফল হিসেবে আখের একটি উচ্চ ফলনশীল প্রজাতির সিরিজ উদ্ভাবন করেছি।