মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষে সফল সিলেটের লুৎফুর

মরিচ চাষের প্রচলিত পদ্ধতি ব্যতিরেকে বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে মালচিং পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে খুব অল্প সময়ে স্বল্প খরচে ফসল উৎপাদন করা যায়। এছাড়াও রোগ বালাইয়ের আক্রমণও কম হয়। চলতি বছর মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করে ব্যাপক সফলতার পাশাপাশি বাজিমাত করেছেন সিলেটের বিশ্বনাথ এলাকার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা লুৎফুর রহমান। তার দেখাদেখি অনেকেই এখন এই পদ্ধতিতে মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়ছেন।

লুৎফুর বলেন, চলতি বছর মালচিং পদ্ধতিতে ৭ শতক জমিতে মরিচের চাষ করেছি । ইতোমধ্যে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা দরে ২০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। প্রত্যেক গাছে ফলন হবে ৪-৫ কেজি করে। এখনও ৩-৪ লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারব।

                                                                                         Advertiesment

তিনি আরও বলেন, এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে অনেক সুবিধা আছে। ফসলের ক্ষেতে আর্দ্রতা সংরক্ষণে মালচিং বিশেষভাবে উপকারী, কারণ এ প্রযুক্তি ব্যবহারে ফসল ক্ষেতের জলের সূর্যের তাপ ও বাতাসে দ্রুত উড়ে যায় না। ফলে জমিতে রসের ঘাটতি হয় না এবং সেচ লাগে অনেক কম। মালচিং ব্যবহার করলে জমিতে প্রায় ১০ থেকে ২৫ ভাগ আর্দ্রতা সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।  এতে খরচ পড়ে ৬ হাজার টাকা প্রায়। রোপণের ২ মাস পর থেকেই মরিচ আসতে শুরু করে ।

বিশ্বনাথ কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, চলতি বছর মরিচ চাষে লুৎফুর ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। মালচিং পেপার পদ্ধতি ব্যবহারে ভালো উপকার মিলে। এতে গাছ মরে যাওয়াসহ অন্যান্য রোগের আক্রমণ কম হয়। আগাছার আক্রমণ কম এবং ভালো ফলন পাওয়া যায়। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও সেবা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।