মরিচ চাষের প্রচলিত পদ্ধতি ব্যতিরেকে বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে মালচিং পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে খুব অল্প সময়ে স্বল্প খরচে ফসল উৎপাদন করা যায়। এছাড়াও রোগ বালাইয়ের আক্রমণও কম হয়। চলতি বছর মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করে ব্যাপক সফলতার পাশাপাশি বাজিমাত করেছেন কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য (মেম্বার) রেখন মিয়া। তার দেখাদেখি অনেকেই এখন এই পদ্ধতিতে মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়ছেন।
জানা যায়, রেখন মিয়া শুরুর দিকে ইউটিউব দেখে চাষাবাদ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেন। পরবর্তীতে স্বল্প পরিসরে শুরু করেন সবজি সহ বিভিন্ন মশলা জাতীয় ফসলের চাষাবাদ। বর্তমানে তিনি সবজি ও মসলা চাষ করে বছরে আয় করেন কয়েক লাখ টাকা।
রেখন মিয়া বলেন, চলতি বছর মালচিং পদ্ধতিতে ৫৫ শতাংশে মরিচ ও ২০ শতাংশে চাষ টমেটো ও বেগুনের চাষ করেছি । ইতোমধ্যে ৭৫হাজার টাকার টমেটো ও বেগুন বিক্রি করেন। আর ৫৫ শতাংশ জমির কাঁচা ও শুকনো মরিচ বিক্রি করেন সাড়ে তিন লাখ টাকার।
তিনি আরও বলেন, এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে অনেক সুবিধা আছে। ফসলের ক্ষেতে আর্দ্রতা সংরক্ষণে মালচিং বিশেষভাবে উপকারী, কারণ এ প্রযুক্তি ব্যবহারে ফসল ক্ষেতের জলের সূর্যের তাপ ও বাতাসে দ্রুত উড়ে যায় না। ফলে জমিতে রসের ঘাটতি হয় না এবং সেচ লাগে অনেক কম। মালচিং ব্যবহার করলে জমিতে প্রায় ১০ থেকে ২৫ ভাগ আর্দ্রতা সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অভিজিৎ সরকার বলেন, ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমারজেন্সি এসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট (ফ্রিপ) প্রকল্পের আওতায় রেখন মিয়াকে ৩৩ শতাংশ জমির জন্য মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষের একটি প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণ দেয় উপজেলা কৃষি অফিস। চলতি বছর তিনি ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।