মাচায় লাউ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন মেহেরপুর জেলার প্রান্তিক চাষিরা। এই পদ্ধতিতে লাউ চাষ করায় পোকামাকড়ের আক্রমণ কম ও কীটনাশক প্রয়োগ না করে লাউয়ের আবাদ করায় এই জেলার উৎপাদিত লাউয়ের চাহিদা এখন দেশজুড়ে।
তুলনামূলক শ্রম ও ব্যয় কম হওয়ায় মাচা পদ্ধতিতে বেশ জনপ্রিয়। বেশি ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি লাউ চাষিরা। লাউসহ নতুন নতুন সবজি চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছেন কৃষি বিভাগ।
লাউচাষি মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের আনসার আলী বলেন, এ বছর দুই বিঘা জমিতে মাচা পদ্ধতিতে হাইব্রিড জাতের লাউয়ের আবাদ করেছি। লাউ আবাদে সেচ ও শ্রমিক খরচ কম। বর্তমানে প্রতি সপ্তাতে ৫০০ থেকে ১০০০ পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যে লক্ষাধিক টাকার লাউ বিক্রি হয়েছে। আশা করছি খরচ বাদ দিয়ে দুই লাখ টাকার লাউ বিক্রি হবে।
নওপাড়া গ্রামের লাউচাষি হায়দার আলী বলেন, বর্তমানে বাজারে একটি লাউ প্রকার ভেদে ১৫ টাকা হতে ২০ টাকায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে মাচা পদ্ধতিতে মার্টিনা জাতের লাউয়ের আবাদে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। চলতি বছরে সব খরচ বাদ দিয়ে ভালই লাভ থাকবে।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, অন্যান্য পুষ্টিকর সবজির মধ্যে অন্যতম লাউ। জেলায় এবছর ২৩০ হেক্টর জমিতে লাউয়ের আবাদ হয়েছে। এসকল জমিতে প্রায় ৬০০০ টন লাউ উৎপাদন হবে। যা জেলার চাহিদা পূরণ করেও এক তৃতীয়াংশ লাউ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হবে।