মাচায় ঝুলছে থোকায় থোকায় রসে টুই টুম্বুর বিদেশী ফল আঙুর। অনেকেই ভেবেছিল আমাদের দেশের আবহাওয়ায় আঙুরের চাষ সম্ভব নয়। ফলন এলেও আঙুর হবে টক। কিন্তু সব অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর গ্রামের উদ্যমী কৃষক কাজী আনোয়ার হোসেন। তার আঙুর বাগানের গাছে ঝুলছে মিষ্টি আঙুর। ইতোমধ্যে অনেকেই স্বচক্ষে বাগান দেখতে ভীর জমাচ্ছেন।
জানা যায়, গত বছর ১৪ শতক জমিতে শুরু করেন আঙুর ফলের চাষ। প্রথম দিকে এলাকার অনেকেই অনেক রকম কথা বলতো। উপহাসের পাত্র হয়ে হাসির খোরাক হয়েছিলেন কৃষক খোকন। কিন্তু সকল উপহাসকে উপেক্ষা করে নিজের স্বপ্নের পিছনে ছুটে চলেছেন অনবরত। কিন্তু তার স্বপ্ন পুরণ হতে বেশি সময় লাগেনি। মাত্র এক বছরের মাথায় পেয়েছেন সফলতা। প্রথম বছরেই মাত্র দুইটি গাছে পেয়েছেন ১৭ কেজি ফল। যা আমদানি করা আঙুরের মতই ব্যাপক মিষ্টি ও দারুণ স্বাদের ছিল বলে চাষি খোকন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ৪৫০ টাকা কেজি দরে লাইভ ওয়েটে গরু বিক্রি করছে মোস্তাফিজুর
খোকন বলেন, গত বছর আমার ছোট ভাই আনোয়ার আঙুর বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন। বাগানটি করতে তার লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। প্রথম বছর অল্প কিছু ফল আসে। চলতি বছর বাম্পার ফলন এসেছে। আশা করছি, সামনের বছর এ ফলন আরও বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে কিছু আঙুর বিক্রি করেছি। এছাড়াও আঙুরের চারা তৈরি করছি। আঙুরে পাশাপাশি চারা বিক্রি করেও ভাল আয় হচ্ছে। যেকেউ চাইলেও আঙুর চাষ করতে পারেন। কেননা আমাদের দেশে আনগুর চাষের ভাল সম্ভাবনা রয়েছে।
সচিত্র প্রতিবেদন দেখুনঃ এভোকাডো ফলের চাষ পদ্ধতি ও যেভাবে পরিচর্যা করলে হবেন লাভবান।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, খোকন মূলত একজন নার্সারি ব্যবসায়ী। তার ভাইয়ের অনুপস্থিতে আঙুরের চাষ করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন। বাণিজ্যিকভাবে আঙুরের চাষ বাড়াতে পারলে দেশে এই ফলের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। ফলে আমদানি কমে যাবে। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। নতুন নতুন চাষিদের আঙুর চাষ বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের সেবা ও পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।