ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভেসে গেছে শত শত চিংড়ি ঘেরে ও পুকুরের মাছ। এতে করে দীর্ঘমেয়াদে লোকসানের পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্তের শিকার হয়েছেন জেলার প্রান্তিক মাছ চাষিরা।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে খুলনার দাকোপ, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে তিন উপজেলায় ভেসে গেছে আট হাজার ৮৭৫ পুকুর ও মৎস্য ঘেরের মাছ। এই তিন উপজেলার প্রান্তিক মাছ চাষিদের প্রায় ১৬৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকার ক্ষতি পাশাপাশি ঝড়ের প্রভাবে বাড়িঘর, গবাদিপশু, মাঠের ফসল, ক্ষেতের ফল ও সবজি এবং প্রচুর গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দাকোপের চিংড়ি চাষি জব্বার শেখ বলেন, ৭টি ঘেরের প্রায় ১২লাখ টাকার মাছ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে করে তিনি দীর্ঘমেয়াদে লোকসানে পড়েছেন। ঋণ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছিলেন। একদিনের ব্যবধানেই সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন বলে আহাজারি করছেন তিনি।
একই উপজেলার রাশিদের ১৫০ শতাংশের ৩ টি পুকুরে শিং মাছ ২২ লাখ টাকার, গুলসা মাছ ৭লাখ টাকা, দেশিয় পোনা ১৫ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষিদের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। চাষিরা যাতে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে সেজন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এদিকে রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা প্রণয়ন করে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা।